৬ জুলাই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ৯৭ কোটি ডলার দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারের নীচে নেমে এসেছিল।
বৃহস্পতিবার তা বেড়ে ২১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ ও ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “রপ্তানি আয় এবং প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহের ইতিবাচক ধারার কারণে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে রিজার্ভ আবার ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।”
এছাড়া স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘বিদেশি ঋণ’ রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে বলে জানান ছাইদুর রহমান।
এই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় সাত মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
৬ জুলাই দিনের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। ওইদিন আকুর পাওনা শোধের পর তা ২১ বিলিয়ন ডলারের নীচে নেমে আসে।
ছাইদুর রহমান বলেন, “ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসীরা তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি রেমিটেন্স পাঠাবেন। তাতে রিজার্ভ আরো বাড়বে।”
চলতি জুলাই মাসের চার দিনে (১ জুলাই থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত) প্রায় ২০ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছে।
গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৪ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
এদিকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে ৩০ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
গত ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল।
আকুর পরবর্তী আমদানি বিল সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে পরিশোধ করতে হবে। এর আগ পর্যন্ত রিজার্ভ আরো বাড়বে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
প্রতি দুই মাস পর আকুর বিল পরিশোধ করে বাংলাদেশ। মে-জুন মেয়াদের বিল শোধ করা হয়েছে ৬ জুলাই।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার।
২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল সেই রিজার্ভ বেড়ে ১৪ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে।
চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়।