বিজেএমসি হোল্ডিং কোম্পানি হবে না: প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনকে (বিজেএমসি) হোল্ডিং কোম্পানিতে রূপান্তর করা হবে না বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2014, 07:51 AM
Updated : 10 July 2014, 07:51 AM

বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিনে সচিবালয়ে বিমান এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বিজেএমসিকে হোল্ডিং কোম্পানিতে রূপান্তরের কথা উঠেছে। এ নিয়ে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অসন্তোষও দেখা দিয়েছে। বিজেএমসিকে হোল্ডিং কোম্পানিতে রূপান্তর করা হবে না।”

এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব ছিল জানিয়ে মির্জা আজম বলেন, “এটা আমরা মানব না, এটা হবে না।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার চারটি বস্ত্রকল নতুন করে চালু করেছে। নতুন যন্ত্রপাতি এনে অন্য মিলগুলোও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির বিষয়গুলো একটি সমন্বিত ব্যবস্থার আওতায় আনতে ১৯৭২ সালে ৭৭টি পাটকল নিয়ে বিজেএমসি গঠন করা হয়। এই স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের আওতায় বর্তমানে ২৬টি পাটকল রয়েছে।

সারা দেশে ১৮২টি পাটক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে পাট কিনে এসব পাটকলে পণ্য উৎপাদন করে বিজেএমসি। সব মিলিয়ে প্রায় ৮২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত।

‘অলাভজনক প্রতিষ্ঠান’ বিবেচনা করে অর্থ মন্ত্রণালয় বিজেএমসিকে হোল্ডিং কোম্পানিতে রূপান্তরের প্রস্তাব দেয়ার পর গত মাস থেকে দেশের বিভিন্ন পাটকলে প্রতিবাদ শুরু হয়। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ওই পরিকল্পনার বিরোধিতায় ঘেরাও, অবরোধ ও মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি পালন করে। 

বিজেএমসি ও বিজেসি, বিটিএমসির অধীনে থাকা হাজার হাজার একর জমি বেহাত হয়ে গেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এসব জমি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।”

এসব জমিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে প্রকল্প করার স্থানীয় কোনো উদ্যোগ থাকলে তা সরকারের কাছে উপস্থাপন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।