মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে পরিস্থিতি আরো নাজুক হলে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তবে তিনি বলেছেন, “ইরাক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। ইরাকে এখনো লিবিয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি যে লোকজনকে বেরিয়ে আসতে হবে।”
কয়েক বছর আগে লিবিয়ায় যুদ্ধ শুরু হলে সেখান থেকে সব কর্মীদের ফিরিয়ে এনেছিল বাংলাদেশ। ইরাকেও নতুন করে যুদ্ধের দামামা বাজছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বুধবার প্রবাসী কল্যাণ, পররাষ্ট্র এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে খন্দকার মোশাররফ সাংবাদিকদের সঙ্গে ইরাক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, “এখানো প্যানিক হওয়ার মতো পরিস্থিতি ইরাকে সৃষ্টি হয়নি। দু’একটা ঘটনা ঘটে থাকলে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে হচ্ছে। আক্রমণাত্মক কোনো ঘটনা ঘটেনি।”
তিনি বলেন, ইরাকে থাকা ২৫ হাজার বাংলাদেশির মধ্যে মাত্র ৪০ জন দেশে এসেছেন। এদের মধ্যে একজন সেখানে কোনো সহায়তা পাননি বলে জানিয়েছেন।
প্রবাসীদের অনেকেই তাদের আত্মীয় ও পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়া ছাড়াও দেশে ফিরে মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
“আমরা ডিসিদের এসব বিষয় দেখতে বলেছি। এজন্য জেলা সদরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কও স্থাপন করা হয়েছে। যারা বিদেশে চাকরি করেন তোদের উপজেলাভিত্তিক ডাটাবেইজ আপডেট করা হচ্ছে।”
ইরাকে নতুন করে সংঘাত বাঁধায় সেখানে কর্মী পাঠানো আপাতত স্থগিত রেখেছে বাংলাদেশ সরকার।
ডিসি সম্মেলনের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে মিয়নমারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
“রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রে মিয়ানমার, ভারত ও চীনের সঙ্গে কাজ চলছে। রোহিঙ্গা ইস্যুরও সমাধান হবে।”