মুহিতের মুখে আবার ‘রাবিশ’

কালো টাকা সাদার করার সুযোগ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ‘ভুল’ বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2014, 01:50 PM
Updated : 1 July 2014, 01:52 PM

সফররত আইএমএফের ডিএমডি নওকি শিনোহারার সঙ্গে মঙ্গলবার ইআরডিতে বৈঠকের পর তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, “কালো টাকা নিয়ে মিডিয়ায় আপনারা সবাই ভুল রিপোর্ট লিখেছেন। রাবিশ!”

অর্থমন্ত্রী হিসেবে গত মেয়াদে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ‘রাবিশ’ বলা নিয়ে সমালোচনায় পড়তে হয়েছিল মুহিতকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশের পরও বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে পারছেন না কেন- এক সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী রেগে গিয়ে বলেন, “পারছি না কথাটা ঠিক নয়। বলতে পারেন একটু দেরি হচ্ছে।”

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আর না দেয়ার কথা অর্থমন্ত্রী বলে এলেও নতুন অর্থবছরের বাজেটে আবাসন খাতে এই সুযোগ অব্যাহত রেখেছে সরকার।

গত ৫ জুন সংসদে বাজেট উপস্থাপনের পরদিন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবেও অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, “এই মুহূর্ত থেকে সব খাতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করা হল।”

ফাইল ছবি

কিন্তু গত শনিবার অর্থবিল পাসের আগে বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবাসন খাতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখার কথা বলেন।

“আবাসন খাতে প্রতি বর্গমিটারে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর প্রদান করলে বিনা প্রশ্নে বিনিয়োগ মেনে নেয়ার বিধানটি কর প্রদান পদ্ধতিতে সরলীকরণমাত্র।”

এরপর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয় এবং মুহিতের ‘অবস্থান পরিবর্তনের’ সমালোচনাও হয়।

মুহিত মঙ্গলবার বলেন, “এই বাজেটে আমি কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে অতিরিক্ত কোনো সুবিধা দেইনি। আয়কর আইনে যে ধারায় এ সুবিধা রয়েছে সেটাই রাখা হয়েছে।

“বরং এবার আমি আবাসন খাতে কিছু পরিবর্তন করে প্রতি বর্গফুট বলে নির্দিষ্ট করে দিয়েছি।”

সদ্য বিদায়ী ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের বাজেটেও আবাসন খাতে নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার বিধান ছিল। স্থবির আবাসন খাতে গতিশীলতা আনার কথা বলে সেই সুযোগ দেয়া হয়।

তার আওতায় রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল এবং দিলকুশা এলাকায় অপ্রদর্শিত অর্থ দিয়ে জমি-বাড়ি কিনলে ২০০ বর্গমিটার পর্যন্ত (তিন কাঠা) প্রতি বর্গ মিটারের জন্য পাঁচ হাজার টাকা কর দিতে হয়।

তিন কাঠার বেশি জমি বা ফ্ল্যাট কেনা বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ৭ হাজার টাকা কর দিতে হয়।

ঢাকার ও চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় তিন কাঠা জমি-বাড়ি কিনতে হলে প্রতি বর্গমিটারের জন্য ৪ হাজার টাকা কর দিতে হয়। আর তিন কাঠার বেশি কিনলে দিতে হয় ৫ হাজার টাকা করে কর।