পদ্মায় মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় ১২০০০ কোটি টাকা

১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে মূল পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ পেতে যাচ্ছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।

শামীম আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2014, 07:13 PM
Updated : 21 May 2014, 07:15 PM

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির জন্য সেতু বিভাগের তৈরি করা সার-সংক্ষেপে এ তথ্য পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ দরপ্রস্তাব অনুমোদন দেয়ার কথা রয়েছে।

২০১১ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ১৭২ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

সার-সংক্ষেপে বলা হয়েছে, গত ২৬ জুন চূড়ান্ত দরপত্র আহ্বানের পর মূল সেতু নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় প্রাক্কলন করা হয় ১৩ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি এ ব্যয় প্রাক্কলন করে।

“বিবেচিত প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ কম দর প্রস্তাব করে।”

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় কারিগরি কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে কাজ দেয়ার সুপারিশ করা হয় সার-সংক্ষেপে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে  চুক্তি মূল্যের ২৫ দশমিক ৬০ শতাংশ বাংলাদেশি মুদ্রায় এবং ৭৪ দশমিক ৪০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রায় জিওবি খাত থেকে পরিশোধ করা হবে।

১৯ মে এক অনুষ্ঠানে মূল পদ্মা সেতু নির্মাণে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে নির্বাচিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

২০১৭ সালের শেষে বা ২০১৮ সালের প্রথম দিকে অর্থাৎ সাড়ে তিন বছরে পদ্মাসেতুর মূল কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

২০১৩ সালে ২৬ জুন পদ্মা সেতুর কারিগরি দরপত্র আহ্বানের পর চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড, ডেলিম এল অ্যান্ড টি জে ভি এবং স্যামসাং সি অ্যান্ড টি গ্রুপ দরপত্র কিনেছিল।

গত ২৪ এপ্রিল আর্থিক প্রস্তাব জমা দেয়ার শেষ দিনে একমাত্র চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড তা জমা দেয়।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণ হলে রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়বে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

পদ্মা সেতু নির্মাণে ২০১১ সালে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি হলেও পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি ঝুলে যায়।

দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে ২০১২ জানুয়ারিতে দেশের সবচেয়ে বড় এ অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়নে বিশ্ব ব্যাংককে ‘না’ বলে দেয় সরকার। সে সময় এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৯১ কোটি ডলার।

বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পর নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়া হয়।