নয় মাসে ১৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি

তৈরি পোশাক পণ্যের উপর ভর করে রপ্তানি থেকে দেশের আয় বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2014, 01:44 PM
Updated : 17 April 2014, 03:57 PM

চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের রপ্তানি আয় প্রায় ১৩ শতাংশ বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি থেকে দুই হাজার ২২৪ কোটি ২৭ লাখ (২২ দশমিক ১৪ বিলিয়ন) ডলার আয় হয়েছে।

মোট রপ্তানির আয়ের মধ্যে এক হাজার ৮০৫ কোটি (১৮ দশমিক ০৫ বিলিয়ন) ডলার এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে।

এর মধ্যে উভেন পোশাক রপ্তানি থেকে ৯২২ কোটি ১৭ লাখ ডলার আয় হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি।

আর নিট পোশাক থেকে আয় হয়েছে ৮৮৩ কোটি ডলার। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি।

গত অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে এক হাজার ৫৬৭ কোটি ৪৬ লাখ (১৫ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন) রপ্তানি আয় দেশে এসেছে।

এর মধ্যে উভেন পোশাক রপ্তানি থেকে আসে ৮০৯ কোটি ডলার। আর নিট পোশাক থেকে এসেছিল ৭৫৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলার।

চলতি অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় তিন হাজার ৫০ কোটি (৩০ দশমিক ৫) বিলিয়ন ডলার। জুলাই-মার্চ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ২০৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলার।

এর মধ্যে আয় হয়েছে দুই হাজার ২২৪ কোটি ২৭ লাখ ডলার। সেহিসাবে এই সময়ে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে দশমিক ৮০ শতাংশ।

২০১২-১৩ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৭০ কোটি ৩৯ লাখ ডলার।

গত অর্থবছরে মোট দুই হাজার ৭০২ কোটি ৭৪ লাখ (২৭ দশমিক ০৮ বিলিয়ন) ডলারের রপ্তানি আয় দেশে এসেছিল।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ মার্চ মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ২৪১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৩০ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। মাসিক হিসাবে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

তবে ফেব্রুয়ারি মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ কমেছে।

অন্যান্য খাতের মধ্যে জুলাই-মার্চ সময়ে হিমায়িত মাছ রপ্তানি বেড়েছে ২৫ শতাংশ, কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

কাঁচা চামড়া রপ্তানি বেড়েছে ৪০ শতাংশ, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৬৩ শতাংশ।

এছাড়া ওষুধ রপ্তানি ২২ দশমিক ২৩ শতাংশ ও সিরামিক রপ্তানি ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

তবে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি ২০ শতাংশ কমেছে।