অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র আমদানিতে শুল্কছাড় চান ব্যবসায়ীরা

আগামী অর্থবছরের বাজেটে শুল্ক ছাড়া অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি আমদানির সুযোগ রাখার প্রস্তাব করেছেন বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদক বিডিনউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2014, 01:20 PM
Updated : 17 April 2014, 01:20 PM

বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় বিভিন্ন খাতে শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও করমুক্ত সুবিধা চান ব্যবসায়ীরা।

এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে আলোচনায় বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএসহ বস্ত্রখাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের সদস্য (শুল্ক নীতি) মো. ফরিদউদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন সদস্য সৈয়দ আমিনুল করীম, ফিরোজ শাহ আলম।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, “পোশাক কারখানাকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে সব ধরনের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতি শুল্কমুক্তভাবে আমদানির সুযোগ দিতে হবে।”

পোশাক কারখানাকে ‘কমপ্লায়েন্ট’ করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্য়ায়ে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে তাতে এ সুবিধা না দিলে অনেক প্রতিষ্ঠানই টিকে থাকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এছাড়া প্রি ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং মেটেরিয়ালসের ওপর ধার্য কর হার মওকুফের সুপারিশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।  

“অনেক ক্ষেত্রে কাঁচামাল ও ওই কাঁচামাল থেকে তৈরি পণ্য উভয় ক্ষেত্রেই উৎসে কর নেয়া হয়। এই ডাবল ট্যাক্সেশন বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।”

গাজীপুর, সাভার, টঙ্গী, নারায়ণগঞ্জ এলাকার বহুতল ভবন থেকে উপার্জিত আয়কেও করমুক্ত করার প্রস্তাব করেন তিনি।

একইসঙ্গে তৈরি পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলে সম্পূর্ণ ভ্যাট অব্যহতি চান এই ব্যবসায়ী নেতা।

অডিট কার্যক্রমের দলিলপত্র দাখিলের সময়সীমা তিন মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করার প্রস্তাব করেন বিকেএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মাদ হাতেম। তিনি পোশাক শিল্পের ভ্যাট রিটার্ন দাখিল থেকেও অব্যাহতি চান।

স্থানীয় বাজার থেকে কেনা তুলার ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেন বিটিএমএ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামীন।

বিভিন্ন ধাপে না ধরে উদ্যোক্তাদের আয়করের হিসাব এক ধাপে ধরার প্রস্তাব দেন তিনি।

এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, টেরিটাওয়েল প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি, নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ প্লাস্টিক অ্যাসোসিয়েশন, গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ সাপ্লাইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন, জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন ও জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরাও আলোচনায় অংশ নেন।