মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পটিসহ আরো দুটি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
‘উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, ১৯৮২ সালের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী প্রতিটি উপজেলায় ৪০ হাজার বর্গফুট অফিস স্পেস থাকার কথা থাকলেও অধিকাংশ উপজেলায় অফিস স্পেস অনুমোদিত ডিজাইনের চেয়ে অনেক কম।
ফলে গত শতকের আশির দশকে নির্মিত অধিকাংশ উপজেলা কমপ্লেক্সগুলোতে অফিসের স্থান সঙ্কুলান নাহওয়ায় সংশোধিত এই প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এসব ভবন নির্মাণে লিফটের ব্যবস্থা না রেখে প্রয়োজনে একোয়াস্টিক সিস্টেমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, সৌর প্যানেল, জরুরি নির্গমন ও অগ্নিনির্বাপকের ব্যবস্থা রাখা হবে।
তবে উপকূলীয় অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের কথা বিবেচনায় রেখে ওখানকার উপজেলা কমপ্লেক্সগুলো পাঁচতলা বিশিষ্ট হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করবে।
মঙ্গলবারের সভায় ‘দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্প (সংশোধিত)’ ও ‘শিরণীর টেক হতে গাবতলী সেতু পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ (সংশোধিত)’ প্রকল্প দুটিও অনুমোদন দেয়া হয়।
দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্পটি বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়ন করছে। ১৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটির কাজ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে।
এর আওতায় প্রতি দরিদ্র মহিলাকে ১৫ হাজার টাকা করে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করা হবে। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৫টি জেলার ৫৯ টি উপজেলায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে বলে কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
৮৯ কোটি ব্যয়ে ‘শিরনীর টেক হতে গাবতলী সেতু পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ (সংশোধিত)’ প্রকল্পটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করছে। ২০১৫ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
টঙ্গী-উত্তরা-আশুলিয়া সড়কের সঙ্গে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সংযোগ স্থাপন করে মিরপুরের শিরণীর টেক থেকে গাবতলী সেতু পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে যানজট হ্রাস করাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।