সংশোধিত এডিপি একই থাকছে: মুহিত

চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির আকার ৬০ হাজার কোটি টাকাই থাকছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 April 2014, 05:14 PM
Updated : 8 April 2014, 05:14 PM

সেইসঙ্গে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বরাদ্দ ২ হাজার ১০০ কোটি টাকাই থাকছে বলে জানান তিনি।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল এডিপির আকার ছিল ৬৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। আর পদ্মা সেতুর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৬ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের ডেকে এডিপি এবং এতে পদ্মা সেতুর অঙ্ক নিয়ে কথা বলেন।

তিনি শুরুতেই বলেন, “আরএডিপি এবং পদ্মা সেতুতে বরাদ্দ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। তা দূর করতেই আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি।”

একনেকের বৈঠক শেষে সাধারণত পরিকল্পনামন্ত্রী অথবা পরিকল্পনা সচিব সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। কিন্তু মঙ্গলবারের বৈঠক শেষে হঠাৎ করেই অর্থমন্ত্রী ব্রিফিং রুমে চলে আসেন।

গত ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এনইসি বৈঠকে ৬০ হাজার কোটি টাকার আরএডিপি অনুমোদন দেয়া হয়।

মুহিত বলেন, “কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) দেখলাম, দু-একটি পত্রিকা লিখেছে, সংশোধিত এডিপি আরো তিন হাজার কোটি টাকা বেড়ে ৬৩ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। একইসঙ্গে পদ্মা সেতুতেও বরাদ্দ বেড়েছে।

“আসলে সেটা সত্য নয়। এনইসি বৈঠকে যে ৬০ হাজার কোটি টাকার আরএডিপি অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সেটাই আছে। পদ্মায় বরাদ্দও ২ হাজার ১০০ কোটি টাকাই আছে।”

পদ্মা সেতুর অর্থ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্য খাতে ব্যয় করা হবে বলে জানান মুহিত।

“সংশোধিত এডিপিতে পদ্মা সেতুর জন্য যে ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে সেটাই যথেষ্ট। এর চেয়ে বেশি অর্থের প্রয়োজন হবে না।”

সংশোধিত এডিপির ৩৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা স্থানীয়ভাবে জোগান দেয়া হচ্ছে। আর বাকি ২১ হাজার ২০০ কোটি টাকার সংস্থান হচ্ছে প্রকল্প সাহায্য থেকে।

নতুন প্রকল্পসহ সংশোধিত এডিপিতে প্রকল্প সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৫৪। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ২০২টি। আর এ বছর সমাপ্ত হবে এমন প্রকল্প নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩৬টি।

অর্থমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীর টানাপোড়েনের মধ্যে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের চাওয়া ৬০ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ৬০ হাজার ৫৮২ কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি চেয়েছিল। কিন্তু অর্থমন্ত্রণালয় তা কোনো অবস্থাতেই ৫৫ হাজার কোটি টাকার বেশি করতে রাজি হচ্ছিল না।

বহুল আলোচিত সংশোধিত এডিপির আকার নিয়ে গত দুই মাস ধরেই অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর মধ্যে মতবিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে দুজনই পরস্পরকে বাক্যবাণে জর্জরিতও করেছেন।

প্রথমে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সংশোধিত বাজেটের আকার ৫৪ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশন ৬০ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা চায়।