হরতাল বন্ধে সংসদে প্রস্তাব আনতে চান মুহিত

অর্থনীতি রক্ষার স্বার্থে সংসদে হরতাল বন্ধের প্রস্তাব আনতে নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2014, 11:26 AM
Updated : 8 Jan 2014, 11:26 AM

বুধবার নিজের দপ্তরে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে মুহিত বলেন,  আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানোই হবে নতুন সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ ।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের পাঁচ বছরে অর্থনীতির চাকা সচল থাকলেও তাদের মেয়াদের শেষ বছরে টানা রাজনৈতিক অস্থিরতায় শঙ্কার মধ্যে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের টানা হরতাল-অবরোধে বিপর্যস্ত অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি খাত।

গবেষক ও ব্যবসায়ী নেতাদের আশঙ্কা- এ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনীতি বড় ধরনের সঙ্কটে পড়তে পারে।

মুহিত বলেন, “অবরোধ- এটা মারাত্মক। সব যানবাহন বন্ধ করে রেখেছে। আমাদের দুর্ভাগ্য, অর্থনীতির বিপর্যস্ত (সেট-ব্যাক) অবস্থা আমরা নিজেরাই তৈরি করে রেখেছি। বিদেশি কোনো ভীতি নেই।”

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের কর্মসূচির সমালোচনা করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “বিরোধীদল বুঝতেই চাচ্ছে না। খালেদা জিয়া তো মানবেই না। কিন্তু তার সঙ্গে যে সাঙ্গপাঙ্গরা আছেন, তারা তো নির্বোধ না। তাদের সঙ্গে অনেক ব্যবসায়ীও আছেন। তাদের নিজেদের স্বার্থ বোঝা উচিত।”

হরতাল বন্ধে আইন করার বিষয়টি নিয়ে এর আগেও সোচ্চার হয়েছেন মুহিত। নবম সংসদে একাধিক দিন এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন সাংসদরা। এমনকি হরতাল আহ্বানকারী রাজনৈতিক দলের মূল নেতাকেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক সদস্য।

মুহিত বলেন, “হরতাল-অবরোধ অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করছে। যেই হরতাল করুক এটা সহিংস হয়। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

হরতাল বন্ধে আইন করা উচিত কী না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “হরতাল নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। সংসদে আমি এটা প্রস্তাব করতে রাজি আছি।”

জামায়াতকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

রিহ্যাব সভাপতি নসরুল হামিদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল অর্থমন্ত্রীর কাছে আবাসন খাতের উন্নয়নে নগদ তিন হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের প্রস্তাব করে। এছাড়া ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমানোরও প্রস্তাব করেন তারা।

রিহ্যাবের এসব দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দেন অর্থমন্ত্রী।