এজন্য দেশের সব ব্যাংক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া জালনোট প্রচলন প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কমিটি ও জেলা কমিটিগুলোকেও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক অসীম কুমার দাশগুপ্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোরবানির সময়ে পশুর হাটে জালনোট প্রচলনের আশঙ্কা থাকে। ব্যাপক ব্যস্ততায় রাতে-দিনে অনেক টাকার লেনদেন হয়।
“সাধারণ মানুষ যাতে প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক জালনোট প্রচলন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।”
এনিয়ে ইতোমধ্যে সংশ্লিস্টদের সঙ্গে বৈঠকও করা হয়েছে বলে জানান অসীম কুমার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি।
রাজধানীর বাইরে যেসব জায়গায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যালয় রয়েছে সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক আর যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুযোগ নেই সেখানে সোনালী ব্যাংকের নেতৃত্বাধীন টিম ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সহযোগিতা করবে। জেলা শহরে থাকবে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
গত বছর রাজধানীর ২০টি অস্থায়ী পশুর হাটে বাংকগুলো এই সেবা দিয়েছিল। এবছরও রাজধানীতে সিটি কর্পোরেশন যতগুলো পশুর হাটের অনুমোদন দেবে সবগুলোতেই ব্যাংকের বুথ বসানো হবে। থাকবে পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা।
এছাড়া জালনোট প্রচলন প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণাও চালাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশেষ করে নোটের নিরাপত্তা বিষয়ক চিহ্নগুলো সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।