বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা চেম্বার ভবনের নিচ তলায় স্থাপিত এ শাখাটির উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান-পরিচালকসহ ব্যাংক ও বাণিজ্য খাতের অনেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ সেবা দেয়ার ঘোষণা দেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির।
এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে রেলমন্ত্রী মজিবুল হক বলেন, দেশের উন্নয়ন ও মানুষের সেবার কথা চিন্তা করে বর্তমান সরকার নতুন ব্যাংক চালুর অনুমোদন দিয়েছিলো। ব্যাংকগুলো সেই লক্ষ্য পূরণে সচেষ্ট থাকবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
তিনি আরো বলেন, “মধুমতি ব্যাংক দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ সেবা দেওয়ার যে পরিকল্পনা নিয়েছে সেটা প্রসংশার দাবি রাখে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি নিজে এই ব্যাংকে হিসাব খোলার বিষয়ে সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করবো।”
ব্যাংকের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, “স্বাধীনতার জন্য যারা যুদ্ধ করেছেন, সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ সেবা দেবে এই ব্যাংক। ব্যাংকে তাদের জন্য আলাদা কাউন্টার থাকবে। থাকবে বাড়তি মুনাফার ব্যবস্থা। তাছাড়া তাদের প্রতি দেখানো বিশেষ সম্মান।”
ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, “যেসব শিক্ষিত যুবক টাকার অভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে না, ঋণ দিয়ে তাদের পাশে দাড়াবে এই ব্যাংক।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ নুরে আলম চৌধুরী, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্ত, বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোর্শেদ আলম প্রমুখ।
বর্তমান সরকার ৯টি ব্যাংককে লাইসেন্স দিয়েছে। মধুমতি ব্যাংক তার মধ্যে সর্বশেষ লাইসেন্স পাওয়া ব্যাংক।