পদ্মা শাসনের দরপত্র: সুযোগ পাচ্ছে ৬ ঠিকাদার

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল কাঠামোর পর এবার নদী শাসন কাজের দরপত্র ডেকেছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2013, 09:29 AM
Updated : 15 Sept 2013, 01:15 PM

রোববার সেতু বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই দরপত্রে বলা হয়, এ কাজের জন্য প্রাক-যোগ্য বিবেচিত ছয়টি প্রতিষ্ঠান আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবে। দরপত্র জমা দিতে হবে। আগামী ২৫ নভেম্বর বিকাল ৩টার মধ্যে

যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, নদী শাসনের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।

রোববার মতিঝিল বিআরটিসি কাযালয়ে ‘ঈদ উপলক্ষে বিআরটিসি প্রস্তুতি’ নিয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে মন্ত্রী বলেন, প্রাক-যোগ্যতায় উত্তীর্ন ছয়টি প্রতিষ্ঠান এই দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবে। বিশ্বব্যাংক যে পরিকল্পনা ও নকশা অনুমোদন করেছিল, সে অনুযায়ীই নদী শাসনের কাজ হবে।

এই ছয় প্রতিষ্ঠান হলো- জাপানের পেন্টা-ওশান কন্সট্রাকশনস, নেদারল্যান্ডসের পদ্মা আরটিসি জেভি (জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি), বেলজিয়ামের জেন ডি লুন, চীনের সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেড,  ডেনমারর্কের পি এ জি জয়েন্ট ভেঞ্চার এবং কোরিয়ার হুন্দাই ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশন লিমিটেড।

এর আগে পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণের জন্য গত ২৬ জুন দরপত্র ডাকে সেতু বিভাগ। আগামী ৪ নভেম্বর ওই দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন।

সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯ হাজার ১৭২ কোটি টাকা।

৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলা সড়কপথে সরাসরি যুক্ত হবে রাজধানীর সঙ্গে। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১.২ শতাংশ বাড়বে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

বর্তমান সরকারের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পদ্মা সেতু নির্মাণে ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি হলেও পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি ঝুলে যায়।

দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে চলতি বছর জানুয়ারিতে সরকার বিশ্ব ব্যাংককে ‘না’ বলে দেয়। সে সময় এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৯০ কোটি ডলার।

বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়ে যাওয়ার পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়।চীন ও মালয়শিয়া সেতু নির্মাণ করে দেয়ার বিষয়ে আলাদা বিনিয়োগ প্রস্তাব দিলেও সেগুলো সরকারের সায় পায়নি।