গভর্নর আতিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মূলত রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি এবং খাদ্য আমদানি কমে আসায় বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ এই অবস্থানে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার দিনশেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার।
বিদেশি মুদ্রার সঞ্চিতির দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে ভাল অবস্থানে আছে কেবল ভারত। ২ অগাস্টের তথ্য অনুযায়ী উদীয়মান অর্থনীতির এই দেশটির রিজার্ভ ২৭৭ বিলিয়ন ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি।
জুলাই শেষে পাকিস্তানের রিজার্ভ ১০ দশকি ২৩ বিলিয়ন ডলার, গতবছর তাদের রিজার্ভ ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলারের ওপরে।
ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান জানান, অর্থবছরের প্রথাম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ শতাংশ; আর রেমিটেন্সে ১৫ শতাংশ।
গভর্নর বলেন, “কৃষি উৎপাদন বাড়ায় খাদ্য আমদানি অনেক কমে এসেছে। পাশাপাশি রপ্তানি আয়ে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সব মিলিয়েই রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।”
রিজার্ভের এই অর্থ দিয়ে সাড়ে পাঁচ মাসের আমদানি বিল মেটানো সম্ভব বলে আতিউর রহমান জানান।
ছাইদুর রহমান জানান, অগাস্টের প্রথম ৯দিনে প্রবাসীরা ৩২ কোটি ২২ লাখ ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন। আর ঈদ সামনে রেখে জুলাই মাসে দেশে এসেছে ১২৩ কোটি ডলার।
গত অর্থবছরের শেষ দুই মাস মে ও জুনে রেমিটেন্স প্রবাহ সামান্য কমে এলেও চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে তা আবার বাড়তে শুরু করে।
গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেকর্ড ১৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ২৭ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১১-১২ অর্থবছরের চেয়ে ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি।
গভর্নর বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখন দেশে স্বজনদের কাছে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে অবৈধ হুন্ডি ব্যবস্থার বদলে ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর অনেক বেশি ভরসা রাখছেন।
তিনি বলেন, “পেমেন্ট সিস্টেমের উন্নতির ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে।”