ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আরো তিন সেতু

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বড় তিনটি সেতুর সঙ্গে নতুন করে চার লেনের আরো তিনটি সেতু হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2013, 09:27 AM
Updated : 23 April 2013, 09:27 AM

বর্তমানের কাঁচপুর, মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতু সংস্কারের সঙ্গে এগুলোর পাশে আরো একটি করে সেতু নির্মাণের এই পরিকল্পনা মঙ্গলবার অনুমোদন করেছে একনেক।

নির্বাচনের বছর যোগাযোগ খাতে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার এই বড় প্রকল্প হাতে নিল মহাজোট সরকার, যার মূল অর্থায়ন হবে জাইকার ঋণ থেকে।

দেশের বাণিজ্যিক কেন্দ্র চট্টগ্রামের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নই এর উদ্দেশ্য বলে প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় যোগাযোগ খাতের গুরুত্বপূর্ণ আরো দুটি প্রকল্পও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সবমিলিয়ে মঙ্গলবারের বৈঠকে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ১১ হাজার ২৯১ কোটি টাকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে পরিকল্পনা  সচিব ভূইয়া শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

File Photo

‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চার লেন বিশিষ্ট ২য় কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু নির্মাণ এবং পুরাতন এই তিন সেতুর পুনর্বাসন প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৪২৯ কোটি টাকা।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ৬ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা ঋণ দেবে। এ বিষয়ে  জাইকার সঙ্গে ইতিমধ্যেই একটি ঋণচুক্তি হয়েছে।

প্রকল্প ব্যয়ের বাকি ২ হাজার ৫৮ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে।

২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে ধরে রাখা হয়েছে।

শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই প্রকল্পসহ অবকাঠামো খাতের আরো পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

এর একটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু সেতুর সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে জয়দেবপুর-এলেঙ্গা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প।

প্রকল্পের অধীনে ৭০ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত করার পাশাপাশি পাঁচটি ফ্লাইওভার হবে। এছাড়া ২৭টি ছোট-বড় সেতু ও ৬০টি আরসিসি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।

১৬ হাজার বর্গমিটার আয়তনের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ভবনও এ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হবে।

প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা এডিবি, ওপেক ফান্ড ও আবুধাবি ফান্ড থেকে পাওয়া যাবে।

২০১৭ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

পোশাক শ্রমিকদের জন্য আশুলিয়ায় বহুতল ভবন

গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত নারীকর্মীদের আবাসনের জন্য হোস্টেল নির্মাণের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেক। প্রকল্পের আওতায় সাভারের  আশুলিয়ায় ১২ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে।

এই ভবনে প্রায় ৯০০ জনের আবাসন সুবিধা থাকবে। প্রকল্পটির ব্যয় প্রায় ২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহায়ণ তহবিলের ঋণ প্রায় ২৫ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা  সচিব শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সভায় মোট ছয়টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। এতে ১১ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ব্যয়ের মধ্যে ৩ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এবং অবশিষ্ট ৮ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য থেকে মেটানো হবে।

অন্য প্রকল্পগুলো হলো- কোর্ট হতে রাজশাহী বাইপাস সড়ক পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প (৭৪ কোটি টাকা), রাজশাহী মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণে র্নদমা নির্মাণ (৩য় র্পযায়) প্রকল্প (১৩৭ কোটি টাকা) এবং পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসটিআই আধুনিকায়ন প্রকল্প (২৮ কোটি টাকা)।

বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরসহ অন্যান্য মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।