সচিবালয়ে এই বৈঠক তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২৭০টি গার্মেন্টস ‘রুগ্ন’ হয়ে পেড়েছে, গার্মেন্ট মালিকরা ‘দিশেহারা’ হয়ে পড়ছেন।
“প্রতিদিন অর্ডার বাতিল হচ্ছে, বায়ার চলে যাচ্ছে এবং অর্থনৈতিকভাবে এ সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।”
চলতি মৌসুমে যে পরিমাণ অর্ডার পাওয়া গেছে তাতে ‘লক্ষণ ভাল নয়’ বলেও মন্তব্য করেন আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “যত ধরনের খারাপ হতে পারে- তা এ সেক্টরে হচ্ছে।”
ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে- এমন কর্মসূচি না দেয়ার জন্যও রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ।
হরতালের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে দেশের অর্থনীতির ক্ষতির দিকগুলো তুলে ধরে এর বিকল্প খোঁজার তাগিদ দিয়ে আসছেন ব্যবসায়ী নেতারা। এমনকি আইন করে হরতাল বন্ধেরও দাবি এসেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও ব্যবসায়ীদের এ দাবির প্রতি তার সমর্থনের কথা বলে আসছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
বিজিএমইএ নেতাদের দাবির বিষয়ে শ্রমমন্ত্রী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পণ্য পরিবহন ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।
বিরোধী দলের লাগাতার হরতাল ও রাজনৈতিক কর্মসূচির ব্যাপারে বিরোধী দলের সঙ্গে সরকার কোনো বৈঠকে যাবে কিনা জানতে চাইল মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “বিরোধীদলকে সংসদে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। সংসদেই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হতে পারে।”
এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে সংলাপের উদ্যেগ নেয়া হলেও বিরোধী দল তাতে সাড়া দেয়নি বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
সহিংসতা বন্ধে সরকার কি উদ্যেগ নিচ্ছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “আমরা উদ্যেগ নিচ্ছি, চেস্টা করছি, তবে চোরাগোপ্তা হামলা হলে আমাদের পক্ষে চেক দেয়া সম্ভব নয়।”