বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সংবাদিকদের এ কথা জানান।
মোজাম্মেল হক বলেন, “গ্রামীণফোন থেকে পাঠানো ৩০ হাজার কোটি টাকা গ্রামীণ টেলিকমে গেছে।
“ওই টাকা গ্রামীণ ব্যাংকে আসার কথা ছিল। এর সুবিধা ভোগ করার কথা ছিল সদস্যদের। কিন্তু সে টাকা গ্রামীণ ব্যাংকে না এসে গেল কোথায়?”
দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন সেবাদাতা গ্রামীণফোনের ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ শেয়ারের মালিক গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকম।
ওই অর্থ কোথায় গেছে- জানতে চাওয়া হলে গ্রামীণ ব্যাংক চেয়ারম্যান বলেন, “শোনা কথা, গ্রামীণ টেলিকম থেকে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট নামে একটি আলাদা প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। ওই টাকা সেখানেই আছে।”
গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট দুটো প্রতিষ্ঠানেরই চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূস বলে জানান মোজাম্মেলন হক।
গ্রামীণ ব্যাংকেরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন নোবেলজয়ী ইউনূস। কিন্তু বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয় সরকার।
গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট গ্রামীণ ব্যাংকে কোনো প্রতিবেদন পাঠায় না বলেও জানান মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, “অর্থ কোথায় গেল তা গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে তাদের প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা যাবে।”
২০১১ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অব্যাহতি দেয়ার পর তার বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নেমেছিলেন ইউনূস। তাতে হেরে গিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
এরপর নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দিতে সরকারের পক্ষ থেকে একটি সাব-কমিটি করা হয়। তবে আদালতে সাব-কমিটির বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তার কার্যক্রম থেমে যায়।
ইউনূসকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এতে উষ্মা প্রকাশ করে।