বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ধরে রেখেছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮ শতাংশ অর্জনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে।
বুধবার বিসিএস ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনের বিশেষ সাধারণ সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “অর্থবছরের শুরু থেকে দেশের অর্থনীতির যে ইতিবাচক ধারা দেখা যাচ্ছে, তাতে এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২৫ শতাংশের বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে।”
গত অর্থ বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রাথমিক হিসাবের চেয়ে বেড়ে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রাথমিক হিসাবে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ বলে জানানো হয়েছিল।
মুস্তফা কামাল বলেন, “আমরা আবারও চুড়ান্ত পর্যালোচনা করছি। এরপর জানানো হবে।”
অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “মাত্র ১০ বছরে আমরা ১৬টি দেশকে ডিঙিয়ে বিশ্বের ৫৮তম অর্থনীতি থেকে ৪২তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত করেছি। দরিদ্র মানুষের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছি।
“পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি (পিপিপি) বা ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে আগামী ২০২৩ সালে আমরা পৃথিবীর ৩০তম বড় অর্থনীতির দেশ হব। সেদিন আমরা সিঙ্গাপুর ও আরব আমিরাতের মতো দেশের উপরে থাকব।”
ঢাকার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান এবং তথ্য সচিব মো. আবদুল মালেক বক্তব্য রাখেন।
নজিবুর রহমান বলেন, “আমি এমন একজন প্রধানমন্ত্রীর সাথে কাজ করি যিনি দিনে ১৯ ঘণ্টা কাজ করেন। তার সঙ্গে কাজ করে তাল মেলানো অনেক কঠিন।”
তথ্য সচিব ও বাংলাদেশ অ্যামিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, “ইকোনমিক ক্যাডারদের প্রশাসনের সাথে একীভূত হওয়ার বিষয়টি চুড়ান্ত পর্যায়ে আছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে খুব বেশি হলে আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে চুড়ান্ত হয়ে যাবে।”