তিনি রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “সিঙ্গেল রেইট ভ্যাট এদেশে হবে না। আমার প্রস্তাব হবে মাল্টিপল রেইট ভ্যাট, অ্যাট লিস্ট দুই রেইট। সরকার ২০১৯ সালে সেই সিদ্ধান্ত নেবে।”
মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি নিহাদ কবিরের নেতৃত্বে নতুন কমিটির নেতারা সৈজন্য সাক্ষাতের সময় মন্ত্রী এ কথা জানান।
সব পণ্য বিক্রির উপর অভিন্ন হারে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নিতে ২০১২ সালে আইন করে সরকার। ২০১৬ সালের ১ জুলাই তা কার্যকরের পরিকল্পনা থাকলেও ব্যবসায়ীদের প্রবল বিরোধিতায় তা পিছিয়ে গত বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী।
তবে জাতীয় নির্বাচনের দেড় বছর আগে ভ্যাটকে কেন্দ্র করে জনগণ যাতে বিমুখ না হয় গত বাজেটের আগে এনিয়ে খোদ সরকারের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা চলে।
পরে জাতীয় সংসদে অর্থবিল পাসের আগে গত বাজেট আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাট আইন কার্যকর করা আরও দুই বছর পেছাতে বলার পর তাতে মাথা নোয়ান অর্থমন্ত্রী। ফলে ২০১৯ সালে ভ্যাট আইন কার্যকরের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে ভ্যাট আইন দুই বছর পিছিয়ে যাওয়ার সাড়ে ছয় মাস পর অর্থমন্ত্রী বলেন, “সিঙ্গেল ভ্যাট আমরা করেছিলাম, আমার নিজস্ব ওপিনিয়ন হল এটা ঠিক হয়নি।
“এক ভ্যাট করা যাবে না। কারণ এত ডিফারেন্স, ডিফারেন্সটা আরও বেড়ে যাচ্ছে। এক রেইটে কোনো মতেই ভ্যাট আদায় করা যাবে না।”
সরকার টাকা নেবে এটা অনেকে চিন্তাই করতে পারে না মন্তব্য করে মুহিত বলেন, “বাজেটের আগে সভাগুলো উপকারী হয় না বলে অনেকে মনে করেন, তবে আমি তা মনে করি না। আগের ধারাবাহিকতায় এমসিসিআই-কে বাজেটের আগে আলোচনায় ডাকা হবে।