সোমবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ও মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি এবং বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা বিষয়ে এক সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহামারি ও দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের যে ৭৫টি দেশকে বিশ্ব ব্যাংক সহযোগিতা করার জন্য তালিকাভুক্ত করেছে বাংলাদেশ সেগুলোর অন্যতম।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রমে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসা সেবাকালে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সফলভাবে কাজ করছে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি এম পারানিথরন রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক দৃষ্টিকোণ আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত। পাশাপাশি তার নির্দেশনায় এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রোহিঙ্গা শরণার্থী কেন্দ্রে যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে তা বিরল।”
তিনি বলেন, অনেক দেশই মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে আসা এত বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে এত দ্রুত পদক্ষেপ সফলভাবে নিতে পারে নাই।
“প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা চার লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান কার্যক্রমে বাংলাদেশ সরকারের সাথে অংশীদার হতে পেরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গর্বিত।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশিদ, বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট বুশরা বিনতে আলমসহ মন্ত্রণালয়, বিশ্ব ব্যাংক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।