মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, “কম আয়ের মানুষকে পুষ্টির বিষয়ে সচেতন করে পুষ্টিকর খাবারে আগ্রহ বাড়ানো উচিৎ।”
পুষ্টির উন্নয়নে দেশে চলমান কর্মসূচিতে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার উপরও জোর দেন তিনি।
রাজধানীর গুলশানের সিক্সসিজন হোটেলে ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অব গভর্ন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এই আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজনে ব্র্যাক ও জেমস্ পি গ্রান্ট স্কুল অফ্ পাবলিক হেল্থসহযোগিতা করে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব খাদ্য সংস্থার পুরস্কার বিজয়ী ড. হাওয়ার্থ বুইস। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. সুলতান হাফিজ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন, জাতিসংঘ শিশুতহবিল (ইউনিসেফ) বাংলাদেশের পুষ্টি খাতের প্রধান অনুরাধা নারায়ন।
মসিউর রহমান বলেন, “সমাজের সবচেয়ে কম আয়ের মানুষগুলোই অপুষ্টির শিকার হচ্ছে। এসব মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সরকারের বরাদ্দ বাড়নো উচিৎ।”
ড. বুইস কৃষিকে পুষ্টি সংক্রান্ত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বলে মনে করেন। তিনি বাংলাদেশের উদাহরণ টেনেই বলেন, এ দেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হলেও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে জনগণের খাদ্যের চাহিদা অনেকটা পূরণ হয়েছে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, “দামি খাবার হলেই পুষ্টিকর খাবার হয় না। আমাদের চারপাশেই অনেক পুষ্টিকর খাবার রয়েছে। জানা থাকলে এগুলো থেকেইঅনেক পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে।”
অনুষ্ঠানে জনগণের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ এবং এ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে পৃথক চারটি গবেষণাভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন ইউনিসেফ এর পুষ্টি বিভাগের প্রধান অনুরাধা নারায়ণ; ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কার্যক্রমের প্রধান ড. মাহফুজা রিফাত, জেমস্ পি গ্রান্ট স্কুল অফ্ পাবলিক হেল্থ এর ড. মলয় কুমার মৃধা ও ড. তানভীর হাসান এবং বিআইজিডি’র ড. শাহনেওয়াজ হোসেন।