রিজার্ভ ফের ৩৩ বিলিয়ন ডলার

অর্থবছরের শুরুতে রেমিটেন্স ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে ভর করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার ফের তিন হাজার ৩০০ কোটি (৩৩ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়েছে।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 August 2017, 04:03 PM
Updated : 13 August 2017, 04:44 PM

গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার রিজার্ভের পরিমাণ ৩৩ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

প্রতি মাসে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার আমদানি খরচ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে নয় মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

গত ২২ জুন অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ দুই বার ৩৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। বৃহস্পতিবার ফের তা ৩৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়।

গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স কমেছে ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তবে চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিটেন্স ১১ শতাংশ বেড়েছে।

 

গত অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে কম প্রবৃদ্ধি হলেও (১.১৬ শতাংশ) জুলাই মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ শতাংশের বেশি।

নতুন অর্থবছরে রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়ার কারণে রিজার্ভ বাড়ছে বলে জানান শুভঙ্কর সাহা।

গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রিজার্ভ। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচক ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ৪ নভেম্বর ছাড়ায় ৩২ বিলিয়ন ডলার।

বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন ১০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে এলে ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো আকুর আমদানি বিল বকেয়া রাখতে বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশ।

১৭ বছরের মাথায় সেই রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন (তিন হাজার তিনশ কোটি) ডলার অতিক্রম করেছে। এই হিসাবে গত ১৭ বছরে বাংলাদেশের রিজার্ভ বেড়েছে ৩৩ গুণ।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। বাংলাদেশকে দুই মাস পরপর পরিশোধ করতে হয় আকুর বিল।