জুলাই মাসে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের একই মাসে ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ ছিল।
৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতির অর্থ হল, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ১০০ টাকায় যে পণ্য বা সেবা পাওয়া যেত, এ বছর জুলাইয়ে তা কিনতে ১০৫ টাকা ৫৭ পয়সা লেগেছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ এই তথ্য তুলে ধরেন।
গত অর্থবছর বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি আগের অর্থবছরের তুলনায় সামান্য কমে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ হলেও শেষ প্রান্তিকে এসে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক চড়তে শুরু করেছিল।
আগাম বন্যায় চালের দাম বৃদ্ধি এবং বাজেটকে সে সময় ওই প্রবণতার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার তিনি যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে গতবছরের জুলাইয়ের তুলনায় মূল্যস্ফীতি বাড়লেও এ বছরের জুনের ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ থেকে কমেছে।
বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে খাদ্য খাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের একই মাসে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ ছিল। গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে তা ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ ছিল।
খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি আগের বছরের জুলাইয়ের ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ থেকে কমে এ বছরের জুলাইয়ে ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ হয়েছে। গত জুনে এ হার ছিল ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
মন্ত্রী বলেন, “আগের মাসের তুলনায় চালের দাম না কমলেও ভোজ্যতেল আর চিনির দাম কিছুটা কমেছে বলে জুনের তুলনায় জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি কমেছে। তবে আমাদের টার্গেট গড় মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৫ শতাংশের মধ্যে রাখা। আমি আশা করছি, আগামীতে মূল্যস্ফীতি আরও কমে আসবে এবং আমাদের টার্গেট পূরণ হবে।”
পরিসংখ্যান ব্যুরো আগে প্রতি মাসে মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করলেও গত মে মাসে এসে প্রান্তিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশ শুরু করলে সমালোচনা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এখন থেকে আবারও মাসিক ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
“সাংবাদিকদের দাবির মুখে সরকার আবারও প্রতিমাসে মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। এখন থেকে আর ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে না।”