৬৯৩ কোটি টাকায় চার স্থলবন্দরের উন্নয়ন

বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ভোমরা, শেওলা ও রামগড় স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে ৬৯৩ কোটি টাকা ব্যয় করবে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2017, 10:38 AM
Updated : 1 August 2017, 10:39 AM

এজন্য ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১ শেওলা, ভোমরা, রামগড় স্থলবন্দরের উন্নয়ন এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পে সায় দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা (একনেক)।

মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এ প্রকল্পসহ আট প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৫৯২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা যোগান দেওয়া হবে।

বৈঠকের পর প্রকল্পগুলো নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

চার স্থলবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন,“এ প্রকল্পের মাধ্যমে বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি ভোমরা, শেওলা ও রামগড় স্থলবন্দরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন করে ভারতের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ভারত হয়ে অন্যান্য প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।”

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে গৃহীত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে নদী ড্রেজিং করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে ৭০ শতাংশ খরচ বহন করবে ভারত আর ৩০ শতাংশ অর্থব্যয় করবে বাংলাদেশ। যৌথ নদীগুলো ভারত থেকেই এদেশে পলি বহন করে নিয়ে আসে বলেই তারা এ ব্যয় বহন করবে।”

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো

‘মংলা হতে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌ-রুটের নব্যতা উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫৬ কোটি টাকা।

‘নবীনগর-শিবপুর-রাধিকা আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের’ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

৩৩৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকায় বাস্তবায়ন করা হবে ‘জামালপুর-ধানুয়া কামালপুর- কদমতলা(রৌমারী) জেলা মহাসড়ক প্রশস্থকরণ ও মজবুতিকরণ প্রকল্প’।

‘রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্পে’ ব্যয় হবে প্রায় ৩৪২ কোটি টাকা।

‘টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর ও ভুঞাপুর উপজেলাধীন যমুনা নদীর বামতীরবর্তী কাউলীবাড়ী ব্রিজ হতে শাখারিয়া পর্যন্ত তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের’ ব্যয় ২০০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

‘মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে চাঁদপুর জেলার হরিণা ফেরিঘাট এবং চরভৈরবী এলাকার কাটাখাল বাজার রক্ষা প্রকল্প’ বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।

‘সিলেট টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন প্রকল্প’এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১১০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।