সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত ‘ফিন্যান্সিয়াল ইনস্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট-২০১৬’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দেন তিনি।
দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের উপস্থিতিতে ওই অনুষ্ঠানে ফজলে কবির বলেন, “বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়া থেকে সরে এসে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে হবে।”
গভর্নর আরো বলেন, ৫০০ কোটি টাকার ওপরে ঋণগুলো বড় ঋণ। এত বড় ঋণ না দিয়ে ছোট ঋণের দিকে যেতে হবে। কারণ বড় ঋণে খেলাপি ঝুঁকি বাড়ে।
এ জন্য গুণগত মানের ঋণ বিতরণের পরামর্শ দিয়ে ফজলে কবির বলেন, “ঋণ যাতে একক খাতে পুঞ্জিভূত না হয়, সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।”
কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে আর্থিক খাতের উন্নয়নের ধারা ব্যাহত না করতে পারে সেবিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট থাকার কথা বলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর।
তিনি বলেন, ঋণ আদায় বৃদ্ধির মাধ্যমে খেলাপি ঋণের হার কমিয়ে আনতে হবে। টেকসই ব্যাংকিং গঠনে সিস্টেমেটিক ঝুঁকির কারণ হতে পারে এমন আগ্রাসী বিনিয়োগ থেকে ব্যাংকগুলোকে বেরিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এসকে) সুর চৌধুরী বলেন, ২০১৬ সালে ব্যাংকিং খাতে মূলধন পর্যাপ্ততার হার ছিল সন্তোষজনক। এসময়ে সম্পদ ও আমানত বৃদ্ধি পেয়েছে। আমানত বিমার সক্ষমতা বেড়েছে; যার মাধ্যমে প্রায় ৯০ ভাগ আমানতকারীর আমানত সুরক্ষা করা সম্ভব।
এসকে সুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, চেইঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইজার আল্লা মালিক কাজেমি, প্রধান অর্থনীতিবিদ ফয়সাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।