বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তিন হাজার ৪৮৩ কোটি ৫০ লাখ (৩৪.৮৩বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ।
এই অংক আগের অর্থবছরের চেয়ে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৬ শতাংশ কম।
সর্বশেষ ২০০১-০২ অর্থবছরে রপ্তানি আগের অর্থবছরের চেয়ে ৭.৪৩ শতাংশ কমে গিয়েছিল। এরপর প্রবৃদ্ধির অংকে হেরফের হলেও তা সব সময়ই ১ দশমিক ৬৯ শতাংশের বেশি ছিল।
২০১০-১১ অর্থবছরে ৪১.৪৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড।
টান পড়েছে পোশাক রপ্তানিতে
দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকে এবার প্রবৃদ্ধি কম হওয়ায় সার্বিক রপ্তানি আয় আগের বছরের চেয়ে খুব একটা বাড়েনি। এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র দশমিক ২ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি প্রতিকূল হওয়ায় পোশাক রপ্তানিতে কিছুটা চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
“তবে আমাদের প্রধান দুটি রপ্তানি বাজারের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অঞ্চলে রপ্তানি ইতোমধ্যে অনেকখানি বেড়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি ত্বরান্বিত হওয়ায় এ বাজারেও আমাদের রপ্তানির পরিমাণ অনেকখানি বাড়বে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে মোট আয়ের ৮১ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে।
এর মধ্যে নিট খাতে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও উভেনে কমেছে ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
অন্য খাতের চিত্র
পোশাকের বাইরে অন্য খাতের মধ্যে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি থেকে আয় কমেছে দশমিক ৫৬ শতাংশ।
চামড়া রপ্তানি ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ কমলেও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানির বেড়েছে ১৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। জুতা রপ্তানি বেড়েছে সাড়ে ৮ শতাংশ।
পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং ওষুধে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। তবে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় কমেছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৭০০ কোটি (৩৭ বিলিয়ন) ডলার।