আবগারি শুল্ক নিয়ে সরকারকে আইনি নোটিস

ব্যাংক আমানতের উপর বাড়তি আবগারি শুল্কের প্রস্তাব নিয়ে সংসদে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে সরকারকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2017, 12:51 PM
Updated : 20 June 2017, 01:56 PM

মঙ্গলবার ডাকযোগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংসদ সচিবালয় সচিব, অর্থসচিব ও জাতীয় সংসদের স্পিকারকে নোটিসটি পাঠান আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ।    

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নোটিসে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।”

নোটিসের অনুলিপি অর্থ মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে জানিয়ে এই আইনজীবী বলেন, “ব্যর্থ হলে বা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ না নিলে আইনি পদক্ষেপ হিসেবে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হবে।”

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট গত ১ জুন সংসদে প্রস্তাব করেছেন, তাতে ব্যাংক হিসাবের উপর আবগারি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।

সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা আবগারি শুল্ক বাড়ানোর এ প্রস্তাবকে যৌক্তিক মনে করেছেন না। সংসদেও এনিয়ে ধারাবাহিক সমালোচনা করছেন সরকারি দলের সদস্যরাও। 

আবগারি শুল্ক নিয়ে সমালোচনায় রয়েছেন অর্থমন্ত্রী মুহিত

ব্যাংক আমানতে বাড়তি আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের পাশাপাশি এই সংক্রান্ত আইনের ধারাও বাতিল চাইছেন ইউনুস আকন্দ। 

নোটিসে বলা হয়, আবগারি শুল্ক বিষয়ে ১৯৪৪ সালের ‘এক্সিস এবং স্যাল্ট অ্যাক্টের’ ৬ ও ৮ ধারায় কোন কোন পণ্য ও দ্রব্য আবগারি শুল্কের অধীন তার উল্লেখ আছে। সেখানে তামাক, সুপারি, কফি, স্বর্ণ ও সিলভার পণ্যের উল্লেখ থাকলেও ব্যাংক আমানতের কথা নেই।

ইউনুস আলী বলেন, সরকার ২০০৪ এবং ২০১০ সালে আবগারি শুল্ক আইন সংশোধন করে।

“দুটি সংশোধনীতে আইনের প্রথম এবং দ্বিতীয় তফসিল পরিবর্তন করে সেখানে অর্থ আইন ২০০৪ এর ব্যাংক আমানতে আবগারি শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত ধারা যুক্ত করা হয়।

এটা সংবিধান এবং ‘এক্সিস ও স্যাল্ট অ্যাক্ট’ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে সংশোধিত আইনটিও বাতিল চেয়েছেন এই আইনজীবী।