ঈদ উপলক্ষে নতুন টাকা বৃহস্পতিবার থেকে

প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ উপলক্ষে নতুন টাকা বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2017, 02:48 PM
Updated : 6 June 2017, 02:48 PM

বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের ছুটির আগের দিন পর্যন্ত এসব নতুন নোট ছাড়া হবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল, সদরঘাট অফিসসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য অফিস এবং ১৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এই নতুন টাকা ছাড়া হবে।

ঈদ উপলক্ষে এবার ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট মজুদ রাখা হয়েছে জানিয়ে শুভঙ্কর সাহা বলেন, “এর মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ছাড়া হবে। বাকিটা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ছাড়া হবে।

“ঈদের ছুটির আগ পর্যন্ত যত নতুন টাকাই প্রয়োজন হোক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসগুলো থেকে সরবরাহ করা হবে।”

তিনি জানান, এককভাবে কোনো ব্যক্তি আট হাজার ৭০০ টাকার বেশি নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন না।

“প্রতিজনকে ১০০টি ৫০ টাকা নোটের একটি বান্ডেল, ১০০টি ২০ টাকা নোটের একটি বান্ডেল, ১০০টি পাঁচ টাকার নোটের একটি বান্ডেল এবং ১০০টি দুই টাকা নোটের একটি বান্ডেল দেওয়া হবে।”

তবে গতবারের মতো এবারো ঢাকায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে এক ব্যক্তি একবার মাত্র নতুন টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই মুখপাত্র।

চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে সারা বছরই কাগুজে নোট সরবরাহ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে দুই ঈদে সাধারণ মানুষের মধ্যেও নতুন নোট বিতরণ করা হয়।

শুভঙ্কর সাহা বলেন, “দুই ঈদে নতুন নোটের বেশ কদর রয়েছে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই আমরা নতুন টাকার প্রস্তুতি নিয়েছি।”

নতুন নোট বদলে দেওয়ার সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিলসহ বিভিন্ন শাখা অফিসে বিশেষ কাউন্টার খোলা হবে। রাজধানীতে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০টি শাখায় থাকবে বিশেষ কাউন্টার।

এসব শাখা থেকে একজন ব্যক্তি দুই, পাঁচ, ১০, ২০ ও ৫০ টাকার একটি করে বান্ডেল অর্থাৎ মোট ৮ হাজার ৭০০ টাকার নতুন নোট পাবেন। এর বাইরে কেউ চাইলে এক, দুই ও পাঁচ টাকার কয়েন নিতে পারবেন যত খুশি।

সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন নোট ছেপে বাজারে ছাড়লে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। তবে ঈদের আগে ছাড়া নোটগুলো ছাড়ার পাশাপাশি বাজার থেকে সমপরিমাণ পুরনো নোট তুলে নেওয়া হয় বলে মূল্যস্ফিতির ওপর বাড়তি কোনো চাপ তৈরি হবে না বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নতুন নোট বদলানোর সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে তিনটি বিশেষ কাউন্টার খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢাকার বাইরে বগুড়া এবং সব বিভাগীয় শহরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শাখা অফিসে বিশেষ কাউন্টার খুলে সেখান থেকে নতুন নোট দেওয়া হবে।

ঢাকার যেসব শাখায় মিলবে নতুন নোট

রাজধানীসহ সারা দেশের সব শাখা থেকে কম বেশি নতুন নোট পাওয়া যাবে। তবে জনসাধারণের সুবিধার্থে ১৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০টি শাখায় বিশেষ কাউন্টার খুলে নতুন নোট দেওয়া হবে।

শাখাগুলো হলো জনতা ব্যাংকের আবদুল গনি রোড ও রাজারবাগ, সোনালী ব্যাংকের রমনা, অগ্রণী ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড, রূপালী ব্যাংকের মহাখালী, ন্যাশনাল ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী, সিটি ব্যাংকের মিরপুর, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার, এসআইবিএলের বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, উত্তরা ব্যাংকের চকবাজার, ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো, ইসলামী ব্যাংকের শ্যামলী, মার্কেন্টাইলের বনানী, ব্যাংক এশিয়ার ধানমণ্ডি এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের দক্ষিণখানের এসএমই অ্যান্ড কৃষি শাখা।