বৃহস্পতিবার ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, “কর্মসূচির আওতায় এ এলাকার প্রকৃত দুস্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত তিন লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল প্রদানের বিশেষ ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।”
এপ্রিলের শুরুতে বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তলিয়ে যায় হাওরাঞ্চল। এতে কিশোরগঞ্জ, সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ আশপাশের ছয়টি জেলার হাওর এলাকার মোট দুই লাখ ১৯ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় আট লাখ ৫০ হাজার ৮৮টি পরিবার।
ক্ষতিগ্রস্ত এই মানুষদের মধ্যে প্রকৃত দুস্থদের চাল দেওয়ার পাশাপাশি মাসিকভিত্তিতে নগদ সহায়তা দিতে ৫৭ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী মুহিত।
হাওর এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম ফর দি পুওরেস্ট-ইজিপিপি’র আওতায় ৯১ হাজার ৪৪৭ জন উপকারভোগীকে ৮২ কোটি ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।”
এছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ঋণ আদায় স্থগিত, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের রেয়াতি হারে নতুন ঋণ দেওয়া এবং ঋণ পুনঃতফসিলি করার সুবিধা হাওর এলাকার জনগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।