সংসদের বরাদ্দ ২০ কোটি টাকা বাড়ছে

আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৩১৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা বরাদ্দ অনুমোদন দিয়েছে সংসদ সচিবালয় কমিশন, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ২০ কোটি ৯ লাখ টাকা বেশি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2017, 02:07 PM
Updated : 24 May 2017, 02:07 PM

বুধবার সংসদ ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ সচিবালয় কমিশনের বৈঠকে এ বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকে কমিশনের সদস্য প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মিলন অংশ নেন। প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজও বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে যোগ দেন।

রাষ্ট্রের সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদে সংশ্লিষ্টদের বেতন-ভাতাসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতিবছরই কমিশন বৈঠকে বাজেট বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

সংসদ সচিবালয়ের নতুন পদ সৃষ্টি, প্রকল্প প্রণয়নসহ বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তও নেয় সংসদ সচিবালয় কমিশন।

কমিশন সভা শেষে স্পিকার শিরীন শারমিন আগামী অর্থবছরের জন্য ৩১৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা বরাদ্দ অনুমোদনের কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

এই অর্থের মধ্যে অনুন্নয়ন খাতে ২৯৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ১৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে।

চলতি অর্থবছরে সংসদের জন্য বরাদ্দ ছিল ২৯৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। গত অর্থবছরে তা ছিল ২০৩ কোটি ৭৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এই বরাদ্দ ছিল ২১৯ কোটি টাকা।

স্পিকার জানান, বৈঠকে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটও অনুমোদন দেওয়া হয়।

সংশোধিত বাজেটের পরিমাণ ২৯৪ কোটি ৮৬ লাখ। অর্থাৎ বরাদ্দের চেয়ে ৪০ লাখ টাকা কম খরচ করেছে সংসদ সচিবালয়।

কমিশন বৈঠকে সংসদ সচিবালয়ের জন্য ১৯টি নতুন পদ সৃজনের অনুমোদনও দেওয়া হয়।

সচিবালয়ের তথ্য প্রযুক্তি উইংয়ে এই পদ সৃষ্টি করা হয়েছে জানিয়ে স্পিকার বলেন, “যেহেতু আমাদের আইটিতে কাজের পরিধি বেড়েছে, সেজন্য নতুন কিছু পদ সৃজন করা হয়েছে।”

রক্ষণাবেক্ষণ তদারকির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

কমিশন বৈঠকে সংসদ ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কাজ সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য একটি সেল গঠন করার নির্দেশনা দিয়েছেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এই তথ্য জানিয়েছেন।

কমিশন বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংসদ ভবন বাংলাদেশের জন্য একটি অনন্য ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এই স্থাপনার মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তাৎক্ষণিক কাজ করা উচিৎ।”