প্রাক-যোগ্যতা সনদ পেল সিটি ইকোনমিক জোন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৮১ দশমিক ৮৮ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দিয়েছে ভোগ্যপণ্য সরবরাহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2017, 01:41 PM
Updated : 22 May 2017, 01:41 PM

সোমবার সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল রহমানের হাতে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স তুলে দেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ-বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।

বেজার পক্ষ থেকে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে দুই কিলোমিটার দূরে শীতলক্ষ্মা নদীর তীর নোয়াগাঁও, চরগন্ধপুর, গন্ধবপুর ও উত্তররূপসী মৌজায় ৮১ দশকি ৮৮ একর জমির অর্থনৈতিক অঞ্চলটি প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে।

বেজার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে সিটি ইকোনমিক জোনের মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিদ্যুং ও গ্যাস সংযোগ রয়েছে, যা ইকোনমিক জোন থেকে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সরবরাহ করা হবে। এর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পানি শোধনাগার প্ল্যান্ট, বর্জ্য পরিশোধনাগার প্ল্যান্ট, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাসহ সকল পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থা থাকবে।

সিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রস্তাবিত শিল্পখাতের মধ্যে ফুড ও বেভারেজ এবং রপ্তানি জাতীয় শিল্পখাত রয়েছে।

বাণিজ্যিক উৎপাদনের প্রথম বছর থেকে দক্ষ-অদক্ষ, নারী-পুরুষ মিলিয়ে মোট তিন হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, যা পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে ১৮ হাজারের অধিক হবে বলে আশা করছে সিটি গ্রুপ।

লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী। বেজার নির্বাহী সদস্য এম এমদাদুল হক, মো. হারুনুর রশিদ, সিটি গ্রুপের পরিচালক মো. হাসান ও সম্পা রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবন চৌধুরী বলেন, সিটি গ্রুপ তার সুনাম অক্ষুন্ন রেখে সিটি ইকোনমিক জোন সফলভাবে বাস্তবায়নের সক্ষম হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, ১৫ বছরের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি বছর অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় এবং ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রত্যাশা নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বেজা।

ইতোমধ্যে ১৩টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। চারটি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এগুলো হল মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চল, আব্দুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল, আমান অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বে-অর্থনৈতিক অঞ্চল।

এ ছাড়া মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলের ডেভলপার নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে ও মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল (প্রথম পর্যায়) ডেভলপার নিয়োগের জন্য নির্বাচিত ডেভলপারকে লেটার অব অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। নাফ ট্যুরিজম পার্ক উন্নয়নে ডেভলপার নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে বেজার পক্ষ থেকে জানান হয়।