এসডিজি বাস্তবায়নে এনজিওগুলোর কাজের হিসাব রাখার আহ্বান

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-এসডিজি বাস্তবায়নে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কারা কী ধরনের কাজ করছে তার হিসাব রাখার পাশাপাশি কাজের টার্গেট নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2017, 09:50 AM
Updated : 18 May 2017, 09:50 AM

বৃহস্পতিবার ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নে বাংলাদেশে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, “এনজিওগুলো এক বছরে কারা কী করেছে তার একটা হিসাব রাখলে আগামী বছর থেকে টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি দেশের এনজিওগুলো কী কাজ করছে তার হিসাবও জাতিসংঘের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

“এসডিজি সরকার একার পক্ষে অর্জন করা সম্ভব নয়। এ জন্য সরকার ও বেসরকারি সবার অংশগ্রহণ দরকার।”

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং ‘এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম’ এ সেমিনারের আয়োজন করে।

এতে আবুল কালাম আজাদ বলেন, “বর্তমান প্যারাডাইমে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি করলেও এসডিজি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নাও হতে পারে। এ জন্য নতুন প্যারাডাইমে কাজ করতে হবে।

“এখনো যেসব সচিব এসডিজির কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করেন নাই, তারা যেন অবশ্যই এনজিও প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করেন।”

এসডিজি বাস্তবায়নে সরকারি তহবিল থেকে এনজিওগুলোকে অর্থ বরাদ্দ করার দাবি প্রসঙ্গে এসডিজি বিষয়ক এ মূখ্য সমন্বয়ক বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আগামী বাজেটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কী চিন্তা করছে আমরা জানি না।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ বলেন, “এসডিজির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের মৌলিক উন্নয়ন। পিকেএসএফও মানুষকে কেন্দ্র করে কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে।

“পিকেএসএফ ও এর অংশীদার সংস্থাগুলো এখন শুধু ক্ষুদ্র অর্থায়ন করে না। এখন উপযুক্ত অর্থায়ন করা হয়। এখাতে এখন ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থায়ন করে থাকে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ জরুরি। প্রযুক্তিতেও আমরা সহায়তা করছি। অর্থাৎ যার যা প্রয়োজন তাই সরবরাহ করা হচ্ছে পিকেএসএফ এর পক্ষ থেকে।”

পিকেএসএফ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এটাকে আরও সম্প্রসারিত করতে চাই আমরা।”

এক সময় বাংলাদেশে এনজিওগুলো মুনাফার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করলেও বর্তমানে সে অবস্থার পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান।

“নব্বইয়ের দশকে আমাদের এনজিও বিপথে যাচ্ছিল। তখন মুনাফাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। এখন কিছুটা ফিরে এসেছে।”

পিকেএসএফ সমাজে পিছিয়ে পড়াদের জন্য অর্থ বরাদ্দ করছে জানিয়ে কাজী খলিকু্জ্জামান বলেন, “কিছু গোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। তাই প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক ও হিজড়াসহ সকল পিছিয়ে পড়াদের জন্য পিকেএসএফ অর্থ বরাদ্দ করেছে।”