বিবিএসের হিসাবে মূল্যস্ফীতি কমেছে

সম্প্রতি বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির খবরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2017, 09:45 AM
Updated : 16 May 2017, 10:44 AM

প্রথা ভেঙে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রকাশিত ভোক্তা মূল্য সূচকে (সিপিআই) দেখা যায়, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমেছে।

শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মূল্যস্ফীতির তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেনন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

অর্থাৎ ২০১৬ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে যে পণ্য বা সেবার জন্য ১০০ টাকা খরচ করতে হত, ২০১৭ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে সে পণ্য বা সেবার জন্য ১০৫ টাকা ৭৮ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।

এর আগে মাসিক হিসাবে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল। তার পরে মার্চ ও এপ্রিল মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য আলাদা করে প্রকাশ করা হয়নি।

মাসিক থেকে ত্রৈমাসিক হিসাবে রূপান্তরের কারণ ব্যাখ্যা করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “প্রতিমাসের ডাটা যথাসময়ে পাওয়া সম্ভব হয় না। তা ছাড়া তাড়াহুড়া করে ডাটা সংগ্রহ করতে গিয়ে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলেই আমরা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

“তাছাড়া আমার নিজের স্বস্তির জন্যই এটা করছি।”

এতোদিন মাসিক ভিত্তিতে ভোক্তা মূল্য সূচক প্রকাশ করা হলেও চলতি অর্থবছর থেকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিবিএসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে কোন কোন পণ্যের দাম আগের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে তার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এর মধ্যে খাদ্য খাতে রয়েছে- চাল, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, টেংরা মাছ, গরুর মাংস, খাসির মাংস, কাঁচা মরিচ, সয়াবিন তেল, চা-পাতা ও দুধ।

আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মধ্যে পরনের কাপড়, জ্বালানি ও আলো, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র ও গৃহস্থালী, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়েছে বলে জানানো হয়েছে।

সিপিআই তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে জাতীয় পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি কমলেও গ্রাম পর্যায়ে বেড়েছে।

জানুয়ারি-মার্চ সময়ে গ্রাম পর্যায়ে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ, যা আগের একই সময়ে ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ ছিল।

আর শহর পর্যায়ে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যা আগের একই সময়ে ছিল ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ।