বিভিন্ন ব্যাংকের সুইফট সিস্টেমে অবৈধ প্রবেশের তদন্তে সহায়তাকারী সাইবার সিকিউরিটি পরামর্শক শেন শুক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ফাঁস হওয়া নথি ও তথ্যের মধ্যে কম্পিউটার কোড রয়েছে, সুইফট সার্ভারে ঢুকে মেসেজিং কার্যক্রম নজরদারির জন্য সেগুলো অপরাধীরা ব্যবহার করে থাকতে পারে।
‘শ্যাডো ব্রোকার্স’ নামে পরিচয় দেওয়া হ্যাকারদের একটি গ্রুপের ফাঁস করা এসব নথি ও তথ্যের বেশ কিছুতে এনএসএ-এর সিল রয়েছে।
রয়টার্স বলছে, এনএসএ-এর সিলের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি তারা। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই গোয়েন্দা সংস্থার বক্তব্যও তারা পায়নি।
সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন (সুইফট) হচ্ছে আন্তর্জাতিক লেনদেনের মাধ্যম। সারা বিশ্বের কেন্দ্রীয় ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এর সদস্য। এক দেশ থেকে আরেক দেশে সুইফটের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর হয়ে থাকে। এজন্য সুইফট প্রত্যেকটি সদস্যকে একটি নির্দিষ্ট কোড ও সিস্টেম ব্যবহারের জন্য গোপন নম্বর (পিন) দিয়ে থাকে।
গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে সুইফট মেসেজ পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকা রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সের কতগুলো ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে সরিয়ে নেওয়া হয়।
কারা সাইবার হামলা চালিয়ে বাংলাদেশের রিজার্ভের ওই অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিল সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো তথ্য মেলেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সম্প্রতি ওই সাইবার হামলার জন্য উত্তর কোরিয়ার দিকে ইঙ্গিত করেন।
বিশেষজ্ঞ শুক বলছেন, শুক্রবার যে সব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করে অপরাধীরা বিভিন্ন ব্যাংক হ্যাক এবং অর্থ চুরি করতে পারে, যেভাবে গত বছর বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছিল।