ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (আইপিএফএফ) টু এবং রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট ওয়ান প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ এই ঋণ পাবে বলে বৃহস্পতিবার বিশ্ব ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিশ্ব ব্যাংক বলছে, স্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে সেগুলো যাতে বেসরকারি খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন করতে পারে সেজন্য আইপিএফ টু-তে বিনিয়োগ করবে তারা।
অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে এই প্রকল্প থেকে ৫ থেকে ৭ বছর মেয়াদে ঋণ নিতে পারবে।
প্রথম আইপিএফএফ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে ১১টি ছোট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হয়েছে, যেগুলো থেকে প্রতিদিন সাড়ে পাঁচশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে।
এছাড়া তিনটি পানি শোধনাগার, একটি অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো, একটি ফাইবার অপটিক কেবল নেটওয়ার্ক ও একটি ড্রাই ডকও নির্মিত হয়েছে ওই প্রকল্পের আওতায়।
রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্টের মাধ্যমে ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ও ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি হবে বলে বিশ্ব ব্যাংক আশা করছে।
এ প্রকল্পের আওতায় ভোমরা, শেওলা ও রামগড় বন্দরের আধুনিকায়ন হবে, নিরাপত্তা বাড়ানো হবে বেনাপোল স্থলবন্দরের।
দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি, গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তগুলোতে পরিবহন ও সরবরাহ পরিষেবার উন্নতি,ব্যবসা ও পণ্যখালাস প্রক্রিয়া সহজীকরণের ফলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে বলে বিশ্ব ব্যাংক মনে করছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট ওয়ান-এর আওতায় শূন্য সুদে ১৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণের মেয়াদ হবে ৩৮ বছর। ‘গ্রেস পিরিয়ড’ থাকবে ছয় বছর এবং সার্ভিস চার্জ হবে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।
আর আইপিএফ টু-তে বাংলাদেশ পাবে ৩৫৭ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ২৫৭ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে শূন্য সুদে ৩৮ বছর মেয়াদে, ‘গ্রেস পিরিয়ড’ হবে ছয় বছর। বাকি একশ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে আনুপাতিক সুদে, ৩০ বছর মেয়াদে। গ্রেস পিরিয়ড থাকছে নয় বছর।
বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিয়াও ফান আশা করছেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে প্রকল্প দুটি ভূমিকা রাখবে।