আগুনে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বের করতে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2017, 06:16 PM
Updated : 27 March 2017, 06:16 PM

সোমবার তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি, তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সেটা যদি জানানোর মত হয়, তবে জানাব।”

বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের ১৪ তলায় বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের একটি কক্ষে গত ২২ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন লাগে। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিস তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে দুটি আলাদা কমিটি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ফায়ার সার্ভিস।

আগুনে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাগজপত্র পোড়েনি বলে এর মধ্যেই আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটির প্রধান নির্বাহী পরিচালক আহমেদ জামাল।

“বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ও তার ব্যক্তিগত সহকারীর চেম্বার প্রায় একেবারে পুড়ে গেছে। তবে চেম্বারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল না।”

সোমবার আহমেদ জামালকে বার বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

তবে মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হতে পারে বলে তদন্ত কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

এদিকে আগুন লাগার পেছনে একটি ‘ইলেকট্রিক হিটারে’ শর্ট সার্কিট হয়ে যাওয়াকে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আরও কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলার পরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

সোমবার তার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বার বার ফোন দেওয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলার জন্য তার উপরে চাপ দেওয়া হয়েছে বলে শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন সমরেন্দ্র।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবনে সাংবাদিকদের প্রবেশেও সোমবার থেকে কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য দিনের মত খাতায় নাম লিখে যাওয়ার বদলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তার কাছে ফোন করে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

আগুন লাগার চারদিন পর সোমবার পর্যন্ত পুড়ে যাওয়া স্থান পরিদর্শনে সাংবাদিকদের অনুমতি দেওয়া হয়নি।