এজন্য চিলাহাটি থেকে পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার হলদিবাড়ি সীমান্ত পর্যন্ত বিলুপ্ত রেলপথ পুনর্নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। অন্যদিকে হলদিবাড়ি স্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত অংশে রেললাইন নতুন করে বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার।
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর বিলুপ্ত চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ট্রানজিট পয়েন্টে নতুন করে ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট প্রতিষ্ঠা হলে শিলিগুড়ি হয়ে চিলাহাটি ও দার্জিলিংয়ের মধ্যে সরাসরি ট্রেন চলাচল আবার শুরু হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই পথে আবার রেল যোগাযোগ স্থাপিত হলে ভারতে থেকে বিশেষ করে পেট্রোলিয়াম ও পাথর আমদানি সহজ হবে। এছাড়াও দুদেশের ব্যবসায়ীরা ব্যাপক লাভবান হবে।
প্রায় ৭৮ কোটি ১৩ লাখ টাকার ব্যয়ে চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ কিলোমিটার নতুন ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণের একটি প্রস্তাব দিয়েছে রেলওয়ে।
চলতি জুলাই থেকে শুরু করে দেড় বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করে ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশ-দার্জিলিং রেলপথ পুনরায় চালু করতে চায় রেল বিভাগ।
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের যুগ্ম প্রধান মো. নজরুল ইসলাম সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রেল বিভাগের প্রাথমিক প্রস্তাবনায় কিছু ভুলভ্রান্তি থাকায় তা ফেরত পাঠানে হয়েছে।
“সেটি সংশোধিত হয়ে এলে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার উপস্থাপন করে মতামত নিয়ে প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে।”
পরিকল্পনা কমিশনের নির্দেশনা মেনে প্রস্তাবনাটির ভুল সংশোধন করে আবারও কমিশনের কাছে পাঠানো হবে বলে রেলের মহাপরিচালক আমজাদ জানান।
ভারত ভাগের আগে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি করিডোর দিয়ে শিলিগুড়ি হয়ে দার্জিলিং পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলতো। সেসময় দার্জিলিং মেইল ট্রেন হলদিবাড়ি-চিলাহাটি-সৈয়দপুর-দর্শনা হয়ে শিলিগুড়ি ও কলকাতার মধ্যে চলাচল করতো। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর রেলপথ সংযোগটি বন্ধ হয়ে যায়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৫ থেকে ২৭ মে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রেল বিষয়ে তিন দিনের এক যৌথ সভায় চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগ পুনঃস্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ভারতের উত্তর-পূর্ব রেলের কাটিহারের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার উমা শঙ্কর সিং যাদবের উদ্ধৃতি দিয়ে একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, হলদিবাড়ি স্টেশনকে আন্তর্জাতিক মানের স্টেশনে রূপান্তরিত করা এবং স্টেশন থেকে চিলাহাট পর্যন্ত নতুন রেলপথ বসানোসহ নতুন করে রেল সংযোগ চালুর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এর মধ্যেই ৪০ কোটি রুপি বরাদ্দ দিয়েছে।