কেন্দ্রীয় ব্যাংকে লোকবলের অভাবে নজরদারি দুর্বল: ডেপুটি গভর্নর

ব্যাংকগুলোর মোট শাখার হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন একজন ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মুহাম্মদ রাজি হাসান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2017, 09:46 AM
Updated : 23 March 2017, 11:28 AM

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ব্যাংকের আভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক কর্মশালায় তিনি একথা বলেন।

ডেপুটি গভর্নর বলেন, “দেশে এখন সকল ব্যাংকের শাখা প্রায় সাড়ে ১২ হাজার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারভিশনের জন্য লোকবল মাত্র ৮০০ জন। এর ফলে অনলাইন, অফলাইন ও অফসাইডসহ সব ধরনের সুপারভিশনে দুর্বলতা রয়েছে।

“একারণেই ব্যাংকের একটি শাখা থেকে প্রধান কার্যালয় দুই হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেলেও তা অনেক সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরে আসছে না। এতোগুলো শাখার সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা খুবই কঠিন।”

আবু হেনা বলেন, ব্যাংকের আভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিপালন নীতিমালায় ঘাটতি রয়েছে।কিছু ব্যাংকের বোর্ড সভায় বোর্ডের বাইরের লোকজন উপস্থিত থাকেন।এগুলো ব্যাংকের জন্য ভালো খবর নয়।”

বৃহস্পতিবার মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অব ব্যাংক ২০১৬’ শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী।

ডেপুটি গভর্নর বলেন, আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ‘তৃতীয় চোখ’ হিসেবে কাজ করে আভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিপালন বিভাগ।

“ব্যাংকে যার যা দায়িত্ব তা পালন করতে হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনাকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে স্বার্থ রক্ষা হবে না।”

বিআইবিএম মহাপরিচালক তৌফিক বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে গেলে আভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিপালন নীতিমালাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকগুলোকেও এটি পরিপালন করতে হবে।”