কর্মময় জীবনে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রেহমান সোবহানকে বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে এই অর্থনীতিবিদকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
রেহমান সোবহানের স্ত্রী রওনক জাহান, বিআইডিএসের মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদ ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৩৫ সালে জন্ম নেওয়া রেহমান সোবহান কেমব্রিজ ও লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিকসে লেখাপড়া করেছেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রস্তুতির সময় তিনি পাকিস্তানের দুই অংশের বৈষম্যমূলক অর্থনীতির বিরুদ্ধে কলম ধরেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নে ভূমিকা রাখেন রেহমান সোবহান। সামরিক শাসক এইচ এম এরশদের সময় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
পরে তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান তিনি।
অনুষ্ঠানে রেহমান সোবহানের কর্মজীবন মূল্যায়ন করে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, “তিনি ফোরাম নামে একটি পত্রিকা বের করেন, সেখানে পাকিস্তানের দুই অর্থনীতির তত্ত্ব প্রচার করে বাংলাদেশ (তখন পূর্ব পাকিস্তান) গরম করে তোলেন।”
অর্থমন্ত্রী ‘জাতি গঠন’ প্রক্রিয়ায় রেহমান সোবহানের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
১৯৬০ সাল থেকে তার সঙ্গে পরিচয়ের কথা উল্লেখ করে মুহিত বলেন, “৬৭ বছর আমরা মোটামুটিভাবে একইভাবে চিন্তাভাবনা করি। কিছু কিছু পার্থক্য হয়। এটা এমন বড় ধরনের কিছু না।”
অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, “তিনি (রেহমান সোবহান) শুধুমাত্র অর্থনীতিবিদই নন। তিনি একজন রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ, সামাজিক অর্থনীতিবিদ এবং জন ও গণ অর্থনীতিবিদ। তিনি ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন।”
বিআইডিএসের মহাপরিচালক মুর্শিদ বলেন, ‘সোসালিস্ট’ ভাবাপন্ন রেহমান সোবহান ন্যায়বিচারের জন্য লড়েছেন।
বিআইডিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো নাজনীন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রেহমান সোবহানের ফুফাতো ভাই কামাল হোসেন, বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।