আগামী বাজেট চার লাখ কোটি ছাড়াবে: অর্থমন্ত্রী

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের আকার চার লাখ কোটি টাকা ছাড়াবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2017, 06:16 PM
Updated : 26 Feb 2017, 06:19 PM

রোববার চারটি গবেষণা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের মাধ্যমে শুরু করা এবারের প্রথম ‘বাজেট-পূর্ব’ আলোচনার পর অর্থমন্ত্রী একথা বলেন।

আগামী বাজেট সম্পর্কে জানতে চাইলে মুহিত বলেন, “আমাদের প্রজেকশন ছিল ৪ লাখ কোটি। সেটা আমি ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা দিতে চাচ্ছি।”

এরপরের বাজেট পাঁচ লাখ কোটি টাকার হলেও সেটি সাদামাটা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আগামী অর্থবছরে ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের এ নিয়ে আপত্তি আছে। সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনাও হচ্ছে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই), ইকনোমিক রিসার্চ গ্রুপ (ইআরজি), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) এবং বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সঙ্গে এই প্রাক-বাজেট আলোচনা হয়।

আলোচনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখানে তারা বলেছে, এসডিজির লক্ষ্যগুলোর প্রতি আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত। সংজ্ঞা স্পষ্ট করতে হবে এবং বাস্তবায়নে আরও কর্মসূচি নিতে হবে।

“বন্ড নিয়ে কথা হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা প্রায়ই কথাবার্তা বলি, কিন্তু বাস্তবিকভাবে এটার প্রয়োগ আমরা করিনি। এখানে একটা কথা এসেছে, কেন আমরা দীর্ঘমেয়াদি বন্ড ছাড়ছি না?

“ব্যাংকিং খাত নিয়ে যথেষ্ট আলাপ হয়েছে। এটা উন্নয়নশীল খাত। কিন্তু এখনো সেখানে কিছু ফাঁকি আছে। বিশেষ করে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে। ব্যাংকিং অটোমেশনটাও সীমিত। এটাকে বাড়ানো দরকার।”

মুহিত বলেন, “বড় ধরনের একটা স্টেটমেন্ট করা হয়েছে যে, আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ অন্য দেশগুলোর তুলনায় খুবই কম। সেখানে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে। এখানে গুণগত উন্নয়ন দরকার। সেজন্য এখানে নজর দিতে হবে।”

অর্থমন্ত্রী বলেন, “রেমিটেন্স প্রবাহে পড়তি-আপনারা সবাই লক্ষ করেছেন। যারা বিদেশে আয় করে, তাদের অনেকেই সেখানে কিছু ব্যয় করে। সাম্প্রতিক সংকটে তাদের বেতন কিছু কমেছে। এটাও রেমিটেন্স কমার কারণ। ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ যে হারে এতদিন বাড়ছিল, সেই হার ভবিষ্যতে হয়ত থাকবে না।”

বিআইডিএসের মহাপরিচালক কেএএস মুরশিদ, জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো নাজনীন আহমেদ, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।

জ্যেষ্ঠ অর্থ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, সাবেক জ্যেষ্ঠ অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ, ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান, এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।