বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে ইকনোমিক রিপোটার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময়ে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
নজিবুর রহমান বলেন, “এই কর্মকর্তাদের কেউ হুমকি-ধামকি দিলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায়। এ সব হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।”
শুল্ক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এনবিআর প্রধান বলেন, ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে তাদের দেশের জন্য কাজ করতে হবে।
“চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজকে ব্যবহার করে কেউ যদি ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, সেটা দিবাস্বপ্ন। সেই স্বপ্ন ভুলে যান।”
শিগগিরই এনবিআরের উদ্যোগে ঢাকায় একটি ‘নিরাপত্তা সংলাপের’ আয়োজন করা হবে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, সেই সংলাপের উদ্দেশ্য হবে সব নিরাপত্তা সংস্থার কাছে রাজস্ব কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরা।
সংবাদমাধ্যমে অর্থ-বাণিজ্য বিষয়ক প্রতিবেদকদের রিপোর্টারদের সংগঠন ইআরএফ সদস্যদের নিয়ে ‘রাজস্ব যাত্রা’র আয়োজন করে চট্টগ্রামে এসেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
দুই দিনের এই সফরে বুধবার চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মতবিনিময় করেন। পরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ এবং চট্টগ্রাম বন্দর ঘুরিয়ে দেখানো হয় সাংবাদিকদের।
আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কীভাবে সম্পন্ন হয়- সে বিষয়ের জানানোর পাশাপাশি সার্বিক অবস্থা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন কাস্টম হাউাজের কমিশনার এ এফ এম আবদুল্লাহ খান।
তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ এখন সম্পূর্ণভাবে বহিরাগতদের উৎপাতমুক্ত।”
অতীতে ‘বহিরাগতদের’ দিয়ে কাস্টমসের মতো স্পর্শকাতর অফিসে কাজ করিয়ে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, “সেটা ঠিক হয়নি।”
কাস্টমস হাউজে সেবা নিতে আসা ব্যবসায়ী, সিঅ্যান্ড এফ এজেন্ট এবং তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন রাজস্ব বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য জাহাজীকরণের প্রক্রিয়াগুলো সাংবাদিকদের ঘুরিয়ে দেখানো হয়।
বন্দর ও কাস্টম হাউজের সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।