বিদেশি পরামর্শক দরকার নেই: আজাদ

বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে এদেশের মানুষই সবচেয়ে ভালো পরামর্শ দিতে পারেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য বিদেশি পরামর্শক প্রয়োজন নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2017, 07:04 PM
Updated : 19 Feb 2017, 07:07 PM

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) নবগঠিত প্ল্যাটফর্ম ‘পিপলস ভয়েস: স্ট্রেনদেনিং এসডিজি ইমপ্লিমেন্টেশন ইন বাংলাদেশ’র আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অনুষ্ঠানে একথা বলেছেন তিনি।

রোববার পিকেএসএফ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান হয়। পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদকে সভাপতি করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে এই প্লাটফর্ম গঠন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমাদের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় পরামর্শক হতে পারে দেশের মানুষ, বিদেশিরা নয়। কারণ আমার দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি আমরাই সবচেয়ে ভালো বুঝি। বিদেশি পরামর্শক দরকার নেই আমাদের।”

তিনি জানান, এসডিজির আওতায় এরইমধ্যেই অনেক জেলা ভিক্ষুক মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থের অভাবে কিছু করতে পারছে না এরকম ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের অর্থায়নের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি করা হচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আশ্রয়ন, একটি বাড়ি একটি খামারসহ দশটি অগ্রাধিকারমূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

“পিপলস ভয়েসকে সাথে নিয়ে আমরা এসডিজি অর্জন করতে চাই,” বলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আজাদ।

খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “এমডিজির সফল বাস্তবায়নে আমরা এখন পৃথিবীর কাছে মডেল হয়েছি। এখন এসডিজি তার চেয়ে সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই। এজন্য আমরা ইতোমধ্যেই একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছি, যাতে সকল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয়গুলো তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যথাযথ কাজ চালিয়ে যাবে।”

তিনি বলেন, “এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ১৩ নম্বর লক্ষ্যমাত্রাটি হচ্ছে- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা। এই লক্ষ্যমাত্রাটি ছাড়া বাকি লক্ষ্যমাত্রাগুলো আমরা ২০৩০ সালের আগেই অর্জন করতে পারব। কিন্তু ১৩ নম্বর লক্ষ্যটি আমাদের উপর নির্ভর করে না।”

সভাপতির বক্তব্যে খলীকুজ্জমান বলেন, পিকেএসএফ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে এক কোটির বেশি দরিদ্র পরিবারকে উপযুক্ত অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ, টেকসই কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও  স্বাস্থ্য সেবার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করে যাচ্ছে।

পিকেএসএফ চেয়ারম্যান বলেন, “এসডিজি বাস্তবায়ন সরকার বা কোনো একক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব নয়। সরকারি-বেসরকারি ও বিভিন্ন ব্যক্তি উদ্যোগসহ সবার মিলিত প্রয়াসকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। তাই আমরা পিপলস ভয়েস গঠন করেছি।”