রোববার রাজধানীর মহাখালী ব্র্যাক সেন্টার ইনে ‘সানেম অ্যানুয়াল ইকোনমিস্টস কনফারেন্স ২০১৭’ এ বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি।
দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের শেষদিনে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনার সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সাবেক গভর্নর বলেন, “আমরা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কথা বলি, কিন্তু সমাজে অনেক ক্যাটাগরির লোক আছে যারা ব্যাংকের সার্ভিস পায় না। যাদের টাকা আছে ব্যাংক তাদের কাছেই যায়, তাদের ডেকেই টাকা দেয়।
“ব্যাংক কর্মকর্তাদের মানসিকতা ও আচরণ পরিবর্তন না করে শুধু ডিজিটাইজেশন করে আমরা বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারব না।”
দেশে চালু ব্যাংকগুলোতে নতুন ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনা কার্যকর করা হয় না জানিয়ে সাবেক গভর্নর বলেন, “বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি ৫৬টি ব্যাংক চালু আছে, নতুন ১০টি ব্যাংক চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু দুঃখের কথা সব ব্যাংক একই কাজ করে।”
সর্বস্তরের মানুষকে ব্যাংক সেবার আওতায় আনতে সমতার চেয়ে ন্যায্যতা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন তিনি।
“৫০ কোটি টাকা ঋণ নিতে যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় ৫ লক্ষের জন্যেও একই কাজ করতে হয়, এমন করেই চলছে।”
ব্যাংক সেবা প্রদান প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন বলেন, সাশ্রয়ী, দ্রুত ও গুণগত মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত কতে হবে।
“বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযোগ ডেস্কে হাজারো অভিযোগ জমে পড়ে থাকে, তার কতটুকু সমাধান হচ্ছে তা শুধুমাত্র অভিযোগকারীরা বলতে পারবে।”
ব্যাংকগুলোর পলিসি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রজেক্টের পলিসি উপদেষ্টা অনির চৌধুরী বলেন, “আমরা ধনীদের কথা ভেবে দরিদ্রদের জন্য পলিসি তৈরি করি, ধনীদেরটা দরিদ্রদের উপর চাপিয়ে দেই।
“বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিকল্পনা যেন শুধু ধনী আর অর্থ পাচারকারী জন্য না হয়ে একজন রিকশাচালকের কথা মাথায় রেখেও করা হয়,” বলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী।
সম্মেলনে বিকাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কামাল কাদির, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী সাধারণ পরিচালক এম আনোয়ারুল ইসলাম ও ব্যাংকের যৌথ পরিচালক খন্দকার আলী কামরান জাহিদ উপস্থিত ছিলেন।