গ্রাহককে না জানিয়ে ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি নয়

গ্রাহককে না জানিয়ে ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়ানো যাবে না।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2017, 01:20 PM
Updated : 12 Feb 2017, 01:46 PM

সুদের হার বাড়ানোর কারণে কোনো গ্রাহক যদি তার ঋণ বা বিনিয়োগের অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে চুক্তির পরিসমাপ্তি ঘটাতে চান তাহলে এক মাসের মধ্যে অতিরিক্ত ফি ছাড়াই সে সুযোগ পাবেন।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ৪৫ (১) অনুচ্ছেদের আওতায় ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই জারি করা ‘গাইডলাইন্স ফর কাস্টমার সার্ভিসেস অ্যান্ড কমপ্লেইন্ট ম্যানেজমেন্ট’ সার্কুলার পরিবর্তন করে নতুন সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

গ্রাহকদের অধিকার সংরক্ষণ এবং ব্যাংকের দায়বদ্ধতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

সার্কুলারে তিনটি নির্দেশনা পরিপালন করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে:

>> যেসব মেয়াদি ঋণের সুদ হার (ইসলামী ব্যাংকের পরিভাষায় বিনিয়োগের ওপর মুনাফার হার) পরিবর্তনশীল সেক্ষেত্রে সুদ বা মুনাফার হার বৃদ্ধি করতে হলে তার যৌক্তিকতা তুলে ধরে গ্রাহককে এক মাস সময় দিয়ে নোটিশ দিতে হবে।

নোটিশের সঙ্গে গ্রাহককে হালনাগাদ দায়সহ নতুন পরিশোধ সূচি (রিপেমেন্ট সিডিউল) সরবরাহ করতে হবে এবং গ্রাহককে ই-মেইল অথবা চিঠির মাধ্যমে  জানাতে হবে। মঞ্জুরিপত্রের শর্তাবলীতেও এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

সুদ বা মুনাফার হার বৃদ্ধির কারণে গ্রাহক যদি এক মাসের মধ্যে ঋণ বা বিনিয়োগের অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে চুক্তির পরিসমাপ্তি ঘটাতে চান তাহলে ‘আর্লি সেটেলমেন্ট ফি’ বা অতিরিক্ত কোনো ফি ছাড়া পরিশোধের সুযোগ পাবেন।

>> চলতি ঋণ বা ডিমান্ড লোন (ইসলামী ব্যাংকের পরিভাষায় এরূপ বিনিয়োগ) এর ক্ষেত্রে কোনো ‘আর্লি সেটেলমেন্ট ফি’ আরোপ করা যাবে না।

>> মেয়াদি ঋণের (ইসলামী ব্যাংকের ক্ষেত্রে অনুরূপ বিনিয়োগের) কিস্তি পরিশোধে বিলম্বের জন্য বিলম্ব ফি/দণ্ড সুদ/ক্ষতিপূরণ আদায়ের ক্ষেত্রে যেসব গ্রাহক প্রকৃতই অসুবিধায় আছেন তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে স্বীয় নীতিমালার আলোকে তা নিষ্পত্তি করতে হবে এবং কোনোভাবেই এ ধরনের বিলম্ব ফি/দণ্ড সুদ/ক্ষতিপূরণ ওই ঋণ বা বিনিয়োগের জন্য প্রযোজ্য সুদ/মুনাফার হার +২ শতাংশের বেশি হবে না।

এছাড়া সার্কুলারে এমআইসিআর চেকের ক্ষেত্রে প্রতারণা ও জালিয়াতি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে ফাঁকা চেক জামানত হিসেবে গ্রহণ না করার পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।