দুই বছরে প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে পৌঁছবে, আশা অর্থমন্ত্রীর

আগামী দুই বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে পৌঁছবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2017, 02:26 PM
Updated : 17 Jan 2017, 02:26 PM

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ব্যাংক শাখার উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

আগামী দুই বছর বাংলাদেশের ভাল সময় কাটবে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “এই দুই বছর পর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে পৌঁছবে। আমি অত্যন্ত আশাবাদী।

“যেভাবে আমরা উঠেছি, তাতে এই আশাবাদ রাখার একটা ভিত্তি আছে বলে আমার মনে হয়।”

তবে সামনের দিনগুলোতে অর্থনীতিক ক্ষেত্রে ‘মধ্য আয়ের স্থবিরতা’ যেন না পায় সেই বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক থাকতে হবে বলে মনে করেন মুহিত।

মন্ত্রী বলেন, “অনেক দেশকে মধ্য আয় স্থবিরতা পেয়ে বসে। অনেকের ক্ষেত্রে এটা অবশ্যম্ভাবী।”

এক্ষেত্রে মেক্সিকোর উদাহরণ টেনে মুহিত বলেন, “তারা বেশ ভালোভাবে দারিদ্র্য কমাতে পারলেও এরপর সম্পূর্ণ স্থবিরতা পেয়ে বসে। তাদের সেখানে এখনকার দারিদ্র্যের হারকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। কারোরই দরিদ্র থাকা উচিত নয়, এই টার্গেট থাকলে এই স্থবিরতা আসতে পারে না।”

প্রবৃদ্ধির সঙ্গে অনেক সময় বৈষম্য বাড়লেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “সাধারণত প্রবৃদ্ধি হয়, সেই সঙ্গে বৈষম্যও বাড়ে। আমাদের সেই অভিজ্ঞতা নেই।”

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ প্রায় ১৬ বছর স্থবির অবস্থায় ছিল জানিয়ে মুহিত বলেন, “আমাদের যে অর্জন সেটা এই ১৬ বছর মাইনাস করে করতে হবে।

“এর মধ্যে গত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য হারে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এ সময়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে নামেনি।  গত বছর আমরা সেই ৬ শতাংশের বৃত্ত থেকেও বের হয়ে এসেছি।”

আগামী দুই বছরে বিনিয়োগ লেভেল ৩২ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, “এটা অসুবিধাজনক নয়।”

স্থিতিশীলতা ও শক্তিশালী উন্নয়নমুখী আশাবাদ, শেখ হাসিনার মত উন্নয়ন-নেতৃত্ব পাওয়ায় অগ্রগতি অর্জন সহজ হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতি প্রণয়ণ করছে।

বছরে বাংলাদেশের প্রায় ২০ লাখ মানুষ চাকরির বাজারে প্রবেশ করলেও এরমধ্যে চার লাখ মানুষের পূর্ণ কর্মসংস্থান হয় বলে জানিয়ে তিনি বলেন, “শিল্প মালিক বা সরকার এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে কাজের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে না। এ জন্য এসএমই খাতকে শক্তিশালী করতে হবে।”

জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি একে আব্দুল মোমেন সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।