বাংলাদেশে পুরোদমে ফিরতে চায় বিশ্ব ব্যাংক: কাদের

বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে বিশ্ব ব্যাংকের পুরোদমে ফেরার ‘আভাস পাচ্ছেন’ বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2016, 10:22 AM
Updated : 4 Dec 2016, 10:22 AM

আসছে জানুয়ারিতেই বিশ্ব ব‌্যাংকের দিক থেকে কিছু ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

রোববার সচিবালয়ে বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের অপারেশন্স ম্যানেজার রাজশ্রী এস পারালকারের নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “তারা আমাদের উন্নয়ন প্রজেক্টে আবার পুরোদমে ফিরে আসতে চাইছে বলে আমরা তাদের কর্মকাণ্ডে বুঝতে পারছি, আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের এ প্রতিনিধি দল আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছে।”

পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েনের পর ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যাংককে ‘না’ বলে দিলে বিশ্ব আর্থিক খাতের ‘মোড়ল’ সংস্থাটির সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে।

অনেকেই সে সময় বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির শঙ্কা করলেও বাস্তবে তা হয়নি। বরং প্রতিবছরই বাংলাদেশে তাদের সহায়তার পরিমাণ বেড়েছে।

গত অক্টোবরে ঢাকায় সফরে এসে বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বাংলাদেশের জন‌্য ঋণ সহায়তা ৫০ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি অপুষ্টি দূর করতে বাড়তি ১ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার আশ্বাস দেন।

দুই দিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়ার আগে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় আগামী তিন বছরে বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান কিম।

“ওয়ার্ল্ড ব্যাংক প্রেসিডেন্ট ঢাকা সফর করেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার পর এখন মনে হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পজিটিভলি রেসপন্স করছে,” বলেন কাদের।

বিশ্ব ব্যাংকের কারণে কয়েকটি প্রকল্পের গতি শ্লথ হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “এয়ারপোর্ট থেকে ঝিলমিল পর্যন্ত (বিআরটি নির্মাণ) ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ফিজিবিলিটি করেছিল। এটার ডিটেইল ডিজাইনও হয়েছিল। তিন বছর আগে এটা নিয়ে একটি সেমিনারও হয়েছিল। কিন্তু মাঝখানে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পদ্মা সেতু থেকে চলে গেল। অন্যান্য প্রজেক্টগুলোও স্লো ডাউন হয়ে গেল। বিআরটি প্রজেক্টও আর এগোল না। এটা অনেকটা মাঝপথেই থেমে গেল।”

এখন বিশ্ব ব্যাংক বিআরটি প্রকল্পে ফিরতে চায় জানিয়ে কাদের বলেন, “এর মধ্যে ফার্স্ট ফেইজ হবে এয়ারপোর্ট থেকে মহাখালী পর্যন্ত। মহাখালী পর্যন্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলারের (২ হাজার কোটি টাকা) একটি লোনের বিষয় আছে। আমি বলেছি, লোনটা যেন তাড়াতাড়ি রিলিজ করা হয় এবং অ্যাপ্রুভাল দেওয়া হয়।”

চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ২২৫ কিলোমিটারের রাস্তা চার লেইন করার কাজেও বিশ্ব ব্যাংককে থাকার অনুরোধ করা হয়েছে তিনি বলেন, “ইটস আ নিউ প্রপোজাল। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফ, যেটা আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দুই লেইন রোড। কক্সবাজারের সঙ্গে আমাদের পোর্টসিটির কানেকটিভির জন্য তাদের অনুরোধ করেছি।”

এ প্রকল্পে ১০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে জানিয়ে কাদের বলেন, “আমরা মনে হয় জানুয়ারিতে ভালো খবর পাওয়া যাবে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যে আমাদের প্রজেক্টে ভালভাবে রিটার্ন করেছে সে ব্যাপারে তাদের পজিটিভ রেসপন্স আমরা পাব।”