এজন্য এশিয়ানের জায়গায় এ অঞ্চলের মানুষের দক্ষিণ এশীয় পরিচয় মুখ্য হতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
রোববার দক্ষিণ এশীয় অর্থনৈতিক সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান। দুই দিনব্যাপী এই সামিটে ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে করণীয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়।
রেহমান সোবহান বলেন, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ওই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আঞ্চলিক প্রীতি তৈরি করতে হয়।
“এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে এশিয়ান পরিচয়ের চেয়ে দক্ষিণ এশীয় পরিচয় মুখ্য করতে হবে।”
ঢাকার লো মেরিডিয়ান হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, নেপালভিত্তিক সংস্থা সাউথ এশিয়া ওয়াচ অন ট্রেড, ইকোনমিকস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের চেয়ারম্যান পশ রাজ পান্ডে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ও পরিচালক (গবেষণা) ফাহমিদা খাতুন বক্তব্য দেন।
শিরিন শারমিন বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাজার অর্থনীতি সচল, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার উন্নয়ন, উদ্ভাবনী নীতিমালা গ্রহণ, বহুমুখী সুবিধা প্রণয়ন এবং শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ অঞ্চলের সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।”
শাহরিয়ার আলম বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি সারা বিশ্বের সেরাদের কাতারে। বিগত দশ বছর ধরে এ প্রবৃদ্ধি ক্রমান্বয়ে আরও মজবুত হচ্ছে। এ অঞ্চলে বাড়ছে ক্রয়ক্ষমতা, তার সঙ্গে বাড়ছে বিনিয়োগ। একইসঙ্গে দেশগুলো এখন কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সুবিধা ভোগ করছে। এসব সুবিধা নিয়ে আমরা আমাদের কাঙিক্ষত লক্ষ অর্জন করতে পারব।”
তবে তার জন্য শান্তি, নিরাপত্তা এবং দেশগুলোর সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুতা কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ অবলম্বনের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান নেপালের পশ রাজ পান্ডে।