দুই মন্ত্রণালয়ের তিন প্রকল্পে ১১৭ কোটি টাকার অনিয়ম

কৃষি এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্পে সরকারের ১১৭ কোটি ৭৭ লাখ‌ে টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মহাহিসাব নিরীক্ষকের নিরীক্ষা আপত্তিতে বলা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2016, 02:00 PM
Updated : 29 Sept 2016, 02:00 PM

বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে এসব নিরীক্ষা আপত্তি নিয়ে আলোচনা হয়।  

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিল্কিওয়ে শিপিং লাইন্সের সার ভর্তি বার্জডুবিতে সরকারের চার কোটি ৩০ লাখ ১১ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য কমিটির কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি।

কমিটি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে বীমা করা এবং খারাপ পরিবহন ভাড়া করার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনাদায়ী টাকা ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আদায় করতে বলেছে।

এছাড়া প্রথমবারের দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে একই প্রতিষ্ঠানকে বাড়তি দরে কার্যাদেশ দিয়ে এমওপি সার কেনায় সরকারের ৬৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সমবায় বিভাগের বাঘাবাড়ী দুগ্ধ খামারে মিনারেল পানির বোতল তৈরির কারখানা স্থাপনের জন্য যন্ত্রপাতি আমদানি এবং প্রকল্প এলাকায় ভবন ও গুদাম নির্মাণ করায় প্রতিষ্ঠানের ২২ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

কমিটি এ বিষয়ে বিএসটিআইয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে তিন মাসের মধ্যে আপত্তি নিষ্পত্তি করতে বলেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্ভাব্যতা যাচাই না করে প্রকল্প হাতে নিয়ে আট বছর যাবত আমদানি করা যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করে ফেলে রাখা হয়েছে।

এত আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ডেইরি প্লান্ট (ডিডিপি) ও বাঘাবাড়ী ঘাট ডেইরি প্লান্টের মেশিন ও যন্ত্রপাতি স্থাপন করে দীর্ঘদিন উৎপাদনে যেতে সক্ষম না হওয়ায় সরকারের ২১ কোটি ১১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।

কমিটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে তিন মাসের মধ্যে বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করতে বলেছে।

সভাপতি মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলাম, আবদুস শহীদ, মোহাম্মদ আমানউল্লাহ, পঞ্চানন বিশ্বাস, রুস্তম আলী ফরাজী, আফসারুল আমীন, শামসুল হক ও মইন উদ্দীন খান বাদল বৈঠকে অংশ নেন।