বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রমের ওপর এশিয়া প্যাসেফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি) এর মূল্যায়ন প্রতিবেদন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।
আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান বলেন, “মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রমে বাংলাদেশ সফলতা অর্জন করেছে। এপিজির তৃতীয় পর্বের মিউচ্যুয়াল ইভাল্যুয়েশন প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তা প্রকাশ করা হয়েছে।
“চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশর বিদ্যমান আইনি ও প্রতিষ্ঠানিক কাঠামো পর্যালোচনায় ৪০টি বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশ ছয়টি বিষয়ে কমপ্লায়েন্স, ২০টি বিষয়ে লার্জলি কমপ্লায়েন্স এবং ১৪ বিষয়ে পার্শিয়ালি কমপ্লায়েন্স রেটিং পেয়েছে। ”
রাজি হাসান বলেন, “চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রেটিং নরওয়ে, শ্রীলঙ্কা, ফিজি থেকে ভালো। সন্ত্রাস, সন্ত্রাসে অর্থায়ন, জঙ্গিবাদ, মানি লন্ডারিংসহ অন্যান্য অপরাধ নির্মূলে বাংলাদেশের অবস্থান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয়েছে।”
এ অর্জন করায় পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ডেপুটি গভর্নর।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ও পুঁজিবাজারে পোর্টফোলিও বিনিয়োগ আসার ক্ষেত্রে এই প্রতিবেদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
“কেউ বাইরের দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে চাইলে এপিজির প্রতিবেদন, দেশটিতে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের কী অবস্থা- তা পর্যবেক্ষণ করেন।”
এপিজের প্রতিবেদনে ভালো করায় বাংলাদেশে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান।
প্রতিবেদন তৈরিতে এপিজির টিম বাংলাদেশের অতীতের সব বড় ঘটনা, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পুঁজিবাজারের সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণে রেখেছিল। সব কিছু বিশ্লেষণ করেই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এপিজি।
৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়াগো শহরে এপিজির ১৯তম বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বাংলাদেশের প্রতিবেদনটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়।
এসময় বিএফআইইউ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক দেব প্রসাদ দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।