মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনিসুর রহমান (মৎস্য) বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বিক্রি ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা করে শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে।
“ইলিশ ধরা বন্ধের সময় এবার আরও সাত দিন বেড়ে যাওয়ায় এই সময়ে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে জেলেদের সহায়তা দিতে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, তারা সম্মত হয়েছে। জেলেদের তালিকাও আমরা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।”
চান্দ্রমাসের ভিত্তিতে প্রধান প্রজনন মৌসুম ধরে গত বছর আশ্বিন মাসের প্রথম চাঁদের পূর্ণিমার দিন এবং এর আগে তিন ও পরের ১১ দিনসহ মোট ১৫ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল।
এবার আশ্বিন মাসের প্রথম চাঁদের পূর্ণিমার দিন এবং এর আগে চার ও পরের ১৭ দিনসহ মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।
আনিসুর বলেন, ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময় পার হওয়ার পরও মা ইলিশ সমুদ্রে ফিরে যাওয়ার পথে ধরা পড়ে। এজন্য গত বছর এই নিষেধাজ্ঞার সময় বাড়িয়ে ১৫ দিন করা হয়। এরপরও মা ইলিশ ধরা পড়ায় এবার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকছে।
এই সময়ে ইলিশ ধরা ঠেকাতে অভিযান চালানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকারের নির্দেশ অমান্য করলে শাস্তি পেতে হবে।”
এই সময়ে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দিতে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া গেছে বলে জানান আনিসুর।
অতিরিক্ত সচিব আনিসুর বলেন, “অ্যাসেসমেন্ট চলছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা প্রকৃত সংখ্যাটা জানতে পারব।”
গত চার-পাঁচ মাস ধরে ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত, আকাশ মেঘলা থাকা এবং পানির মানের পরিবর্তন হওয়ার এবার নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
“জাটকা ধরা নয় মাস বন্ধ থাকে। এছাড়া ইলিশের উৎপাদন নিয়ে পাঁচ-ছয় বছরে যেসব কাজ হয়েছে, অভিযান চলেছে- তার ফল পাওয়া যাচ্ছে এখন।”